শিশু শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ‘কুমন’

শনিবার সাভারের ব্র্যাক সিডিএমে অনুষ্ঠিত ব্র্যাক কুমন এএসআইচআর (এডভান্স স্টুডেন্ট হনার রোল) পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

শিশু শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে জাপানি কুমন পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ এবং শিশু শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কুমন পদ্ধতি চালু হলে শিক্ষার গুনগত মান অনেক সমৃদ্ধ হবে।

আজ শনিবার সাভারের ব্র্যাক সিডিএমে অনুষ্ঠিত ব্র্যাক কুমন এএসআইচআর (এডভান্স স্টুডেন্ট হনার রোল) পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।

তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, 'শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য সহজে গণিত ও ইংরেজি শিক্ষার জাপানি কুমন পদ্ধতি দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চালু হলে বাংলাদেশের সর্বস্তরের শিশু শিক্ষার গুনগত মান অনেক সমৃদ্ধ হবে।'

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ বলেন, 'প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে কুমন পদ্ধতিতে আমাদের শিশুরা শিক্ষা গ্রহণ করে মেধার বিকাশ ঘটাতে পারবে। পাশাপাশি আগামী দিনে গুণগত শিক্ষা উন্নয়নে কুমন হতে পারে একটি বড় দৃষ্টান্ত।'

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, 'বাংলাদেশে একুশ শতকের অর্থনীতিকে বিকশিত এবং শক্তিশালী করতে গুণগত  শিক্ষার বিকল্প নেই। কুমন শিক্ষা পদ্ধতি দেশের সর্বস্তরে চালু হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পৃথিবী পরিবর্তনের পথে নিজেদের যোগ্য হিসাবে তৈরি করতে পারবে।'

তিনি বলেন, 'বর্তমানে বাংলাদেশে কুমনের ৫টি সেন্টারের কার্যক্রম চালু আছে, আগামী বছরের মধ্যে দেশে আরও ১২টি সেন্টার চালুর পরিকল্পনা আছে।'

অনুষ্ঠানে ব্র্যাক কুমনের ৩৩০ জন শিক্ষার্থী ৩ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার গ্রহণ করে। ব্র্যাক ২০১৭ সালে জাপানের কুমন ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কুমন সশিক্ষা পদ্ধতির পাইলট প্রজেক্ট গ্রহণ করে। এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীদের কুমন শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় আনতে পেরেছে সংস্থাটি।

১৯৫৮ সালে জাপানের স্কুল শিক্ষক তরু কুমন তার ছেলে তাকেশি কুমনকে সহজে গণিত শেখানোর জন্য এই পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন। বর্তমানে এই পদ্ধতি পৃথিবীর ৬০টি দেশে সমাদৃত হয়েছে এবং ১৪ হাজার ৫০০ স্কুলে এই পদ্ধতি চালু হয়েছে।

শিশুদের গণিত ও ইংরেজি কারিকুলামে দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি একবিংশ শতাব্দীর গুরুত্বপূর্ণ স্কিল যেমন ক্রিটিকাল থিংকিং, ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ও প্রবলেম সলভিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্কিল নিয়ে কাজ করে জাপানিজ সেলফ লার্নিং মেথড (কুমন)।

অনুষ্ঠান বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

6h ago