কিস্তির টাকা তুলতে গিয়ে খুন হন ব্র্যাককর্মী রেজাউল: পুলিশ

গ্রেপ্তার শাহীন। ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি এনজিও ব্র্যাকের কর্মী রেজাউল করিম (৫০) কিস্তির টাকা তুলতে গিয়ে খুন হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাভার মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুলাহিল কাফী।

এর আগে গতকাল বিকেল ৩টার দিকে রাজফুলবাড়ীয়া এলাকার আসাদুজ্জামানের দোতলা বাড়ির নিচতলার সিঁড়ির সামনে থেকে রেজাউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে হত্যার অভিযোগে ইতোমধ্যে শাহিন আলী (২২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।

নিহত রেজাউল ব্র্যাকের মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

আব্দুলাহিল কাফী জানান, গতকাল রেজাউল করিমের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ট্যানারি ফাঁড়ির পরিদর্শক রাসেল মোল্লার নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তা উদ্ধার করে। একইসঙ্গে তারা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহিন আলীকে এলোমেলোভাবে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারীর কর্মকর্তার। পরে শাহীনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার গলা ও পিঠে নখের আঁচড়ের দাগ দেখা যায়। এরপর পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে তিনি রেজাউলকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেন।

তিনি আরও জানান, গত ১৩ জুন শাহিনের কাছে কিস্তির টাকা তুলতে যান রেজাউল। সেই সময় শাহীন টাকা নেই জানিয়ে রেজাউলকে পরে আসতে বলেন। পরদিন আবার কিস্তির টাকার জন্য শাহীনের বাসায় যান রেজাউল। তখন তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং এক পর্যায়ে রেজাউলের তলপেটে লাথি মারেন শাহীন। পরে রেজাউল শাহীনের গলা ও পিঠে নখ দিয়ে খামচি দেয় এবং তার চোখে ঘুষি মারেন। এরপর শাহীন আবারও রেজাউলের পেটে লাথি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান। ওইদিন দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত শাহীন মরদেহটি নিজের রুমেই লুকিয়ে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে মরদেহটি সিঁড়ির নিচে নিয়ে রাখে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, হত্যার পর রেজাউলের পকেটে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তা নিজ রুমের বাথরুমের চিলেকোঠায় লুকিয়ে রাখেন শাহীন। তার স্বীকারোক্তির পরে সেই টাকা উদ্ধারও করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Prisoners celebrate Eid in unity and harmony at Dhaka Central Jail

Eid prayers for inmates were held at 8:15am inside the prison premises

15m ago