মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত যুবদলকর্মী শাওনের মৃত্যু
মুন্সিগঞ্জে গতকাল বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত যুবদলকর্মী শহীদুল ইসলাম শাওন (২৭) মারা গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাচ্চু মিয়া বলেন, 'শাওনকে গতকাল মুন্সিগঞ্জ থেকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে এনে ভর্তি হয়। তার মাথায় আঘাত ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।'
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় গতকাল বুধবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীসহ প্রায় ৪০ জন আহত হন। তাদের একজন যুবদল কর্মী শাওন।
শাওনের ছোটো ভাই সোহাগ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুপুরের খাবারের গতকাল পর ভাই বলেছিলেন একটু ঘুরে আসি। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার সন্ধান পাই। এসে দেখি তিনি অচেতন অবস্থায় আছেন। পরে রাত ১১টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ভাইয়া মাথায় আঘাত পেয়েছেন।'
শাওনের স্ত্রী ও ১ বছরের একটি ছেলে আছে বলে জানান তার ছোটো ভাই।
গতকাল বুধবার বিকেলের ওই সংঘর্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসিসহ ২৫-৩০ জন ও বিএনপির ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
সংঘর্ষে আহত জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০), তারেক (২০) ও শাওনকে(২৭) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পথচারী আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, বিকেলে মুক্তারপুর ব্রিজের পাশে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় জাহাঙ্গীরকে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয় হয়।
আহত তারেক জানান, তিনি ছাত্রদল কর্মী। বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়েছিলোন তিনি। সেখানে এক পর্যায়ে এক পুলিশ সদস্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তার কপালে আঘাত করে।
শাওনের বন্ধু নাহিদ খান বলেন, 'শাওন সমাবেশে গিয়ে আহত হয়েছিলেন। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। আমরা জানতে পেরেছি যে পুলিশের গুলিতে শাওন আহত হয়েছিল।'
যোগাযোগ করা হলে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক মো. মহিউদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শাওনের মৃত্যুতে আমরা এখনই কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। আগামীকাল শুক্রবার তার জানাজা শেষে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে কি না।'
Comments