ইন্দো-প্যাসিফিক সামরিক কর্মকর্তাদের জন্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সেমিনার
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী যৌথভাবে আগামী ১২ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে ৪৬তম বার্ষিক ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস) আয়োজন করবে।
আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সেমিনার এই অঞ্চলের স্থলবাহিনীগুলোর (সেনাবাহিনী, মেরিন ইত্যাদি) বৃহত্তম সমাবেশ। আইপিএএমএসের উদ্দেশ্য হলো পারস্পরিক বোঝাপড়া, সংলাপ ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আরও বৃদ্ধি করা। সেমিনারে সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজেদের মতামত ও ধারণাগুলো পরস্পরের সাথে বিনিময় করার মাধ্যমে তাদের কর্ম পরিব্যাপ্তি ও সমঝোতা আরও দৃঢ়তর করবেন।
এই বছরের সেমিনারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো 'ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ'। কনফারেন্সে প্লেনারি অধিবেশনের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে প্রতিপাদ্য বিষয়ের সুনির্দিষ্ট দিকগুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা করবেন।
এ ছাড়া, অংশগ্রহণকারীরা বিশিষ্ট অতিথি বক্তাদের কাছ থেকে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, মানবিক সহায়তা, দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণ, নেতৃত্বের বিকাশ এবং নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য শুনবেন এবং আলোচনায় অংশ নেবেন।
হাওয়াইয়ের হনলুলুতে ১৯৭৭ সালে অনুষ্ঠিত আইপিএএমএসের প্রথম সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ৯টি দেশের সংখ্যা বেড়ে ২০১৭ সালে কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ৩১টি দেশ হয়েছিল। আইপিএএমএস সম্মেলন অংশগ্রহণকারীদের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার করার এবং পারস্পরিক উদ্বেগের বিষয়গুলোতে মত বিনিময় করার সুযোগ করে দিয়ে থাকে।
১২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে রেডিসন হোটেলে সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চার্লস ফ্লিন যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আগ্রহীদের অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে।
Comments