জ্বালানির দাম ৫ টাকার বেশি কমাতে পারতো সরকার: এফবিসিসিআই সভাপতি

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

সরকার জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৫ টাকারও বেশি কমাতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমছে। সেই সঙ্গে সরকার আমদানি শুল্ক ও আগাম কর কমিয়েছে। দুটো মিলিয়ে যদি সরকার দাম কমাতো, তাহলে লিটার প্রতি ৫ টাকারও বেশি কমাতে পারতো।'

গত রোববার ডিজেলে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আর ৫ শতাংশ আগাম করও প্রত্যাহার করা হয়। এরপর গতকাল ডিজেল-পেট্রল-অকটেন-কেরোসিনের দাম লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার।

এর আগে, গত ১৪ আগস্ট জনস্বার্থে শুল্ক-কর প্রত্যাহার করে জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃ-সমন্বয়ের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছিল এফবিসিসিআই।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, 'দামটা যে হারে বেড়েছিল, সেই হারে কিন্তু কমেনি। তবে দাম কমানোর ফলে কিছুটা উপকার হবে।'

'আমাদের এখানে সমস্যা হলো- দাম বাড়লে সেটা কমানো অনেক কঠিন হয়ে যায়। দাম কমানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ', যোগ করেন তিনি।

জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ফলে যে হারে উৎপাদন ও ব্যবসার খরচ কমবে, সে হারে পণ্য ও সেবার দাম কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, 'সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছে, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ। এটা পজিটিভ মুভ। তারা যখন দাম বাড়িয়েছিল, সেসময় তারা বলেছিল দাম আস্তে আস্তে সমন্বয় করা হবে।'

সার্বিক পরিস্থিতিতে সরকার জ্বালানি তেলের দাম শিগগির আরও কিছুটা কমাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ীদের এই নেতা।

গত ৬ আগস্ট লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনে ৩৪ টাকা, পেট্রলে ৪৪ টাকা ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। এরপর সব ধরনের পণ্য ও সেবার দাম বাড়তে থাকে। এতে সারাদেশে সরকারের ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পাশাপাশি শুল্ক কমিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি উঠতে থাকে।

এদিকে, গতকাল রাতে জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকার পরিবর্তে ১০৯ টাকা, পেট্রল ১৩০ টাকার পরিবর্তে ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকার পরিবর্তে ১৩০ টাকায় বিক্রি হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Economic expectations: Did govt fall short?

When an interim government was sworn into office following the ouster of the Awami League regime just 100 days ago, there was an air of expectation that the Prof Muhammad Yunus-led administration would take steps to salvage a scam-ridden financial sector and rescue an ailing economy.

7h ago