সাভারে পাইকারিতে চালের দাম বেড়েছে ৩-৬ টাকা, খুচরায় ৬-১০
ঢাকার সাভারে পাইকারি বাজারে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৬ টাকা। খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে আরও বেশি। ক্রেতাদের চাল কিনতে প্রকার ভেদে ৬ থেকে ১০ টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে।
আজ শনিবার সাভারে চালের আড়ৎ নামাবাজার ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
নামাবাজসরের চালের পাইকারি দোকান মনির অ্যান্ড ব্রাদার্সের ম্যানেজার মিঠুন সাহার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব চাউলের বাজারে পড়েছে। প্রকার ভেদে ৫০ কেজির বস্তায় চালের দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ার আগে ৫০ কেজির এক বস্তা মোটা চাল বিক্রি করতাম ২১২০ টাকায়। এখন বিক্রি করছি ২২৭০ টাকায়। মিনিকেট ছিল ৩৩০০ টাকা এখন বিক্রি করছি ৩৬০০ টাকা। আমাদের বাজারে ব্রি-২৯ চাল বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। ২৪৫০ টাকার ওই চালের দাম এখন ২৭০০ থেকে ২৯০০ টাকা। তবে গত ২-৩ দিনে প্রতি বস্তায় দাম ২০-৪০ টাকা কমেছে।
দাম বাড়লেও চাহিদায় তেমন কোনো হেরফের হয়নি বলেই জানান এই ব্যবসায়ী।
মিঠুন সাহা বলেন, মিল মালিকেরা চালের দাম বাড়িয়েছেন। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা বড় কোম্পানিগুলোর ওপর সরকার নজরদারি না বাড়ালে চালের দাম বস্তায় ৫০০ টাকা বাড়বে। এক বছরে প্রতি বস্তা চিনিগুড়া চালের দাম বেড়েছে ২ হাজার টাকা।
নামাবাজার এলাকার সালাম রাইস এজেন্সির কর্ণধার হাজী মোহাম্মদ আব্দুস সালাম ডেইলি স্টারকে বলেন, মিল মালিকেরা চালের দাম বাড়িয়েছে তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তেলের দাম বৃদ্ধির পর কুষ্টিয়া ও দিনাজপুর থেকে ট্রাক ভাড়া ৭ হাজার টাকা বেড়েছে। তবে বজারে চালের পর্যাপ্ত যোগান আছে।
সাভারে এখন খুচরা বাজারে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার আগে এর দাম ছিল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা। আর পাইকারি বাজারে এই চাল বিক্রি হতো ৪২ টাকা কেজিতে, এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়।
সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা ব্রি-২৯ পাইকারি বাজারে বিক্রি হতো ৪৫ টাকা কেজি দরে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৯ টাকায়। সবচেয়ে ভালো মানের ব্রি-২৯ চাল বিক্রি হতো ৫২ টাকা কেজি দরে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়।
ভালো মানের মিনিকেট চাল পাইকারি বাজারে বিক্রি হতো ৬৬ টাকা দরে, এখন বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকায়। এই চাল খুচরা বাজারে বিক্রি হতো ৬৯-৭০ টাকা দরে, এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৬-৭৭ টাকায়।
Comments