মজুরি বাড়ানোর দাবিতে ২৪১ চা-বাগানে কর্মবিরতি

কর্মবিরতি
ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

বর্তমান দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চা-শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবিতে দেশের ২৪১ চা বাগানে ৩ দিনের কর্মবিরতি চলছে।

আজ মঙ্গলবার সব চা-বাগানে এক যোগে এই কর্মবিরতি শুরু হয়।

কর্মবিরতির পাশাপাশি চা-শ্রমিকরা তাদের নিজ নিজ বাগানে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শ্রমিকরা এই কর্মবিরতি পালন করবেন।

কর্মবিরতি
ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় ও বাগানগুলোর যৌথ সিদ্ধান্তে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নিপেন পাল।

তিনি বলেন, 'এই কর্মসূচি সফল করতে আমরা গত ২ দিনে চা-বাগান পঞ্চায়েতের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছি।'

'চা-শ্রমিকের দৈনিক হাজিরা ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় উন্নীত করার দাবি অনেক দিনের,' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'মালিকপক্ষ ইতোমধ্যে ১৪ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তাহলে মজুরি দাঁড়াবে ১৩৪ টাকা। এ দিয়ে একজন শ্রমিক কীভাবে চলবে?'

'সারাদিন পরিশ্রম করেও এক লিটার পেট্রোলের দাম হয় না,' বলে মন্তব্য করেন এই শ্রমিক নেতা।

কর্মবিরতি
ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর বাগানের চা-শ্রমিক সুলেখা বাউরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের ৫ জনের সংসার। ১০০ টাকায় মাত্র ২ কেজি চাল কিনতে পারি। অথচ দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা। অনেক কষ্টে আছি। বেশিরভাগ সময় উপোষ থাকতে হয়।'

সিলেট বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়টি মূলত মালিক পক্ষ ও চা-শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে হয়ে থাকে। সেখানে আমরা প্রভাব খাটাতে পারি না। তারা যদি আমাদের কাছে বিচারপ্রার্থী হয় সেক্ষেত্রে আমরা ২ পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে মিমাংসা করতে পারি।'

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

3h ago