সরিষা উৎপাদন ৪ গুণ বাড়ানোর পরামর্শ কৃষিমন্ত্রীর
দেশে ভোজ্যতেল আমদানি কমাতে সরিষার উৎপাদন ৪ গুণ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
এ লক্ষ্যে উত্তর-পশ্চিমের জেলাগুলোতে ধানের ফলন অক্ষুণ্ণ রেখে তেলবীজসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কৃষি বিভাগকে নজর দিতে বলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে তেলবীজের অন্তর্ভুক্তি এবং অধিক ফলনশীল জাতের ধান উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এ পরামর্শ দেন।
মন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানির জন্য গত অর্থবছর দেশে ৮১ বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। আর ভোজ্যতেলের জন্য অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে আড়াই বিলিয়ন ডলার।
বর্তমানে ভোজ্যতেলের চাহিদার মাত্র ১০-১৫ শতাংশ দেশীয় উৎস থেকে পূরণ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বিদেশ থেকে আনা ভোজ্যতেলের ওপর চাহিদা কমাতে আগামীতে দেশে সরিষার উৎপাদন বর্তমানের ১০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে।'
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'দেশে একশ্রেণির বুদ্ধিজীবী আছে যারা অপ্রচার চালাচ্ছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সংকট আছে, সারের সংকট আছে, ভোজ্যতেলের সংকট আছে বলে হাহাকার করছে। কিন্তু দেশে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা, সার ও তেলের সংকট নেই। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে এ ধরনের অপ্রচার করছে।'
তিনি আরও বলেন, 'শুধু নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকারের পরিবর্তন হবে। কোনো আন্দোলন বা ষড়যন্ত্র করে সরকার পরিবর্তন হবে না।'
কর্মশালায় বক্তারা সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি ও অধিক ফলনশীল ধান উৎপাদনের জন্য জাত পরিবর্তনের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রচলিত শস্য বিন্যাসে সরিষা অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি, পতিত জমিতে শস্য উৎপাদন, খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে শস্য উৎপাদন, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের মাধ্যমে ধান কেটে জমি দ্রুত সরিষা চাষের উপযোগী করাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানান।
Comments