দেশ এখন দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, অনেক ফসলে উদ্বৃত্ত: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, হোটেল শেরাটন, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য ঘাটতি, কৃষি,
হোটেল শেরাটনে ‘জলবায়ু অভিযোজন: বাংলাদেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পের উন্নয়ন সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশ এখন দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, অনেক ফসলে উদ্বৃত্ত।

আজ বুধবার ঢাকায় হোটেল শেরাটনে 'জলবায়ু অভিযোজন: বাংলাদেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পের উন্নয়ন সম্ভাবনা' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ একসময় খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ছিল।  বিদেশ থেকে আমদানি করে ও সাহায্য নিয়ে এই খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলা করতে হতো। আর দেশ এখন দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, অনেক ফসলে উদ্বৃত্ত।'

কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'বিগত ১৫ বছরে সবজির উৎপাদন বেড়েছে ৭ গুণ, ভুট্টার ৮ গুণ, পেঁয়াজের ৫ গুণ, চালের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।'

'কৃষি উৎপাদনের এই সাফল্য আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। এই সাফল্য আলাদীনের চেরাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়নি, অর্জিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জাদুবলে। কৃষিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কৃষিবান্ধব নীতির কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে,' বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তন হোক বা না হোক দেশের কৃষি সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। নানা প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করেই ফসল ফলাতে হয়। ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে হলে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে, উৎপাদন ব্যয় কমাতে হবে এবং প্রতিকূল পরিবেশে চাষোপযোগী ফসলের জাত উদ্ভাবন করতে হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে আমরা কাজ করছি।'

কৃষিপণ্যের বিপণন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানিতে দেশ অনেক পিছিয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এসব ক্ষেত্রে আমাদের সম্ভাবনা অনেক। ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের এখানে এগিয়ে আসতে হবে। কৃষিখাতে বিনিয়োগ করলে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।'

ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স ( আইসিসি) খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

6h ago