আলোচনায় প্রতিনিধি দল, লঙ্কান প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি বিক্ষোভকারীদের

প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের ভবনে বিক্ষোভকারীদের উল্লাস। ১৩ জুলাই ২০২২। ছবি: রয়টার্স

শ্রীলঙ্কার সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বিক্ষোভকারীরা দেশটির অর্থনৈতিক দুর্দশা লাঘবে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগে চাপ দিচ্ছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিরা তাদের দখলে থাকা সরকারি ভবনগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের বিষয়েও আলোচনা করছেন।

২০০ বছরের বেশি পুরনো প্রেসিডেন্টশিয়াল প্যালেস হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সমর্থন দেওয়া বৌদ্ধ ভিক্ষু ওমালপে সবিথা গণমাধ্যমকে বলেন, 'এই ভবন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি। এটি রক্ষা করা উচিত। ভবনটির আসবাব ও তৈজসপত্র নিয়ে যথাযথ অডিট হওয়া উচিত এবং তা অবশ্যই রাষ্ট্রের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।'

আন্দোলনের এক সক্রিয় কর্মী নাম প্রকাশ না করে এএফপি'কে বলেন, 'সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দখলকৃত ভবনগুলো হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।'

গত শনিবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে প্রাসাদ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর হাজারো দর্শনার্থী ভবনটি দেখতে আসছেন। তাদের অনেকে ভবনটি ঘুরে দেখার পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের বিছানা ও সোফায় শুয়ে থাকেন, রান্নাঘরে গিয়ে রান্না করেন, সুইমিংপুলে সাঁতার কাটেন, কেউ আবার পিয়ানো বাজান।

গতকাল বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর জরুরি অবস্থা ও কারফিউ জারি করেন। তিনি সেনাবাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করার নির্দেশ দেন।

আজ ভোরে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়। পুলিশ বলেছে, পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক সেনা ও পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

কলম্বোর প্রধান হাসপাতাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষে আহত ৮৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে গতকাল পদত্যাগ করবেন বললেও এখনো এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা দেননি। তিনি কলম্বো থেকে পালিয়ে এখনো মালদ্বীপে রয়েছেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র গোতাবায়ার ভিসা আবেদন বাতিল করেছে। কেননা, ২০১৯ সালে নির্বাচনের আগে তিনি তার মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

3h ago