যাত্রাবাড়ী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা, পিকআপ ভাড়া জনপ্রতি ৫০০

ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত পিকআপে ১৫-২০ জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

ঢাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী পরিবহন সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। বাস সংকটের কারণে অনেকে পিকআপ, ট্রাকের মাধ্যমে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত জনপ্রতি পিকআপ ভাড়া ৫০০ টাকা। এসব পিকআপে ১৫-২০ জন পর্যন্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকায় বাস সংকট আছে। যাত্রীদের যে চাপ সে অনুযায়ী বাস নেই। সীমিত সংখ্যক যেসব বাস চলছে, সেগুলোর কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন। তাছাড়া বাস খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। পিকআপগুলো জনপ্রতি ৫০০ টাকা ভাড়ায় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পরিবহন সংকটের কারণে ছোট ছোট পিকআপ ভর্তি করে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছেন। প্রিয় মানুষের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উদযাপন করতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

কিছু পিকআপে কোরবানির গরুর সঙ্গেও যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে এসে দীর্ঘ লাইনে পড়তে হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে যাত্রীবোঝাই করে পিকআপ চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রায় ১২-১৫ জন যাত্রী নিয়ে প্রতিটি পিকআপকে পদ্মা সেতু পার হতে দেখা যায়।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

দেলোয়ার হোসেন নামে এক দোকান কর্মচারী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে দুপুর ১২টায় রওনা দিয়েছি। দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের সময় মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় এসেছি। এক্সপ্রেসওয়েতে ১০-১৫ মিনিট আটকে ছিলাম। এ ছাড়া, আসার পথে আর কোনো ভোগান্তি ছিল না। ৫০০ টাকা ভাড়া দিয়েছি।'

মাহমুদ হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে যাত্রীবাহী বাস পাচ্ছি না। বাস খুব কম চলাচল করছে। তাই বাধ্য হয়ে মাকে নিয়ে ৫০০ টাকা জনপ্রতি ভাড়ায় একটি পিকআপে উঠেছি। যা ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত যাবে। পথিমধ্যে এক্সপ্রেসওয়েতে তীব্র রোদে মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কষ্ট হলেও যেতে হবে। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় এসে গাড়ির লাইনে ১৫ মিনিট ধরে অপেক্ষা করেছি। এখানে গাড়ির অনেক চাপ।'

এদিকে, পোস্তগোলা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত জনপ্রতি ২৫০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

ট্রাকচালক হৃদয় হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কোম্পানির ট্রাক নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলাম। ঢাকা থেকে ফিরে আসার পথে যাত্রীদের নিয়ে রওনা করেছি। যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২৫০ টাকা করে নিয়েছি। এক্সপ্রেসওয়েতে কোথাও থামতে হয়নি। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় আসার পর ধীরগতি আছে।'

রুবেল হোসেন বলেন, 'ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

7h ago