বাল্যবিয়ে রোধে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাল্যবিয়ে রোধে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
জনসংখ্যার দরিদ্র অংশে বাল্যবিয়ের প্রবণতা এবং উচ্চ জন্মহার নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আজ বুধবার বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইউএনএফপিএ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টিন ব্লোখস এবং ইউএন-ওমেন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ গীতাঞ্জলি সিংকে মোমেন এ অনুরোধ জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৃথকভাবে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ২ জন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের বাংলাদেশে স্বাগত জানান এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের সংস্থা ২টির মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতার সম্পর্কের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি দেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে জনগণের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরূপ প্রভাব প্রশমনে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সহায়তা চান।
এ কে আব্দুল মোমেন কোভিড-১৯ মহামারিকে কার্যকরভাবে মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প তুলে ধরেন। কোনো বাধ্যতামূলক বিধিনিষেধ আরোপ না করে তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্যের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একই ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণে ইউএনএফপিএর সহায়তা চান তিনি।
ইউএনএফপিএর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভের সঙ্গে দেখা করার সময় তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের সাফল্য নিয়েও কথা বলেন।
ইউএন-ওমেন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাসে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে তিনি এই ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা করা অব্যাহত রাখার জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ২টির প্রতি প্রতি আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের উভয় প্রতিনিধিই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ ব্যবস্থার মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
Comments