গাজা যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে জিম্মি মুক্তি ও শান্তি প্রচেষ্টার আহ্বান জানাল জাতিসংঘ

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ফাইল ছবি: রয়টার্স
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ফাইল ছবি: রয়টার্স

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি ও গোটা অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ইসরাইলের ওপর হামাসের হামলার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, 'ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিরোধের টেকসই সমাধান খোঁজার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে উভয় পক্ষ এবং এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশ একে অপরকে সম্মান করতে পারে এবং শান্তি ও মর্যাদার সঙ্গে একসাথে বসবাস করতে পারে।

মহাসচিব আরও বলেন, '৭ অক্টোবরের হামলা ছিল নৃশংস, এতে শিশু ও নারীসহ এক হাজার ২৫০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিক নিহত হয়। এ সময় তারা অবর্ণনীয় সহিংসতার শিকার হয়। সেদিন অনেক নারী ও শিশুসহ আড়াই জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়েছিল। '

তিনি বলেন যে ৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য হামাসের এই নিন্দনীয় কর্মকাণ্ড ও মানুষকে জিম্মি করার ঘটনার সোচ্চার ও স্পষ্টভাবে নিন্দা জানানোর দিন।

মহাসচিব তার বার্তায় আরও বলেন, গত এক বছরে তিনি জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং তাদের দুঃখ-কষ্টে তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, '৭ অক্টোবরের পর ভয়াবহ সহিংসতা ও রক্তপাতের ঢেউ শুরু হয় এবং এক বছর আগে সেই ভয়ঙ্কর হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধ একের পর এক জীবন ধ্বংস করে চলেছে। এটি গাজার ফিলিস্তিনিদের এবং এখন লেবাননের জনগণের জন্য মারাত্মক মানবিক দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে।'

'এটি জিম্মিদের মুক্তির সময়, বন্দুক স্তব্ধ করার সময়, এই অঞ্চলকে গ্রাস করেছে এমন দুর্ভোগ বন্ধ করার সময়', যোগ করেন তিনি।

মহাসচিব শান্তি, আন্তর্জাতিক আইন পুনরুদ্ধার এবং সমস্ত ভুক্তভোগী ও বেঁচে যাওয়াদের জন্য ন্যায়বিচারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের নীতি অনুসারে সমস্ত জিম্মির মুক্তি, অঞ্চল জুড়ে দুর্ভোগের অবসান এবং একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

পরিশেষে তিনি বলেন, 'এত রক্তপাত ও বিভাজনের মধ্যেও আমাদের অবশ্যই আশা ধরে রাখতে হবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

The Daily Star, HSBC honour high achievers in O- and A-Level exams

To commemorate the victims of the July Uprising, the programme began with a one-minute silence, followed by the rendition of the national anthem

1h ago