আন্তর্জাতিক আইন মেনেই ইসরায়েলকে জবাব দেওয়া হবে: ইরান
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার উচিত জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে ইরানের। আর আন্তর্জাতিক আইন মেনেই দেওয়া হবে সেই জবাব। এমনটাই বলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত।
আজ মঙ্গলবার ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের এই তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার ইরানের অনুরোধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের আলোচনার বিষয় ছিল ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বিমান হামলা।
ইরানের দাবি, তাদের আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে এই হামলা প্রতিহত করেছে এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বললেই চলে।
এই বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি বলেন, 'একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে সুবিধাজনক সময়ে এই আগ্রাসী পদক্ষেপের জবাব দেওয়ার জন্মগত অধিকার রয়েছে ইরানের। জাতিসংঘের সনদের ৫১ নং অনুচ্ছেদে এ অধিকারের বিষয়টি স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে।'
ইরাভানি বলেন, 'আমাদের জবাব হবে আইনসিদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তা দেওয়া হবে।'
তিনি ইসরায়েলি আগ্রাসনকে 'আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদের বড় মাত্রার লঙ্ঘন' বলে অভিহিত করেন এবং নিন্দা জানান। তিনি উল্লেখ করেন, সর্বশেষ হামলায় ইরানের চার সেনাসদস্য ও এক বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।
ইরানের প্রতিনিধি জানান, ইসরায়েলের এই আগ্রাসী আচরণ সম্পূর্ণ পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলার উদ্যোগের অংশ এবং এ ক্ষেত্রে তারা নিয়ন্ত্রণহীন দায়মুক্তি উপভোগ করছে।
তিনি ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন গাজা এবং পরবর্তীতে লেবাননে ইসরায়েলের গণহত্যার উদাহরণ দেন।
ইরাভানি এই সংঘাতে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতামূলক আচরণে হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি মত দেন, যুক্তরাষ্ট্রের গা-ছাড়া মনোভাব ও 'নিরবচ্ছিন্ন ও শর্তহীন' সমর্থনের কারণে তেল আবিব আরও সাহসী হয়েছে এবং নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধিতে আগ্রাসী আচরণে মেতেছে। পাশাপাশি, নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনার প্রতিটি উদ্যোগ বানচাল করেছে যুক্তরাষ্ট্র—এমন দাবিও করেন ইরাভানি।
ইরাভানি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, 'আত্মরক্ষার' কথা বলে ইসরায়েলের সব সহিংস আচরণকে তাদের পশ্চিমা মিত্ররা বৈধতা দিয়েছে, কিন্তু একই গোষ্ঠী ইরানকে লজ্জাজনকভাবে 'ধৈর্যশীল' থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে। এটা পুরোপুরি নিন্দনীয়।
Comments