কুয়েটে বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে হামলার অভিযোগ, তদন্ত কমিটি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুতে সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃতরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থী।

গত শনিবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী এস এম নাহিন রহমানের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গতকাল রোববার উপাচার্য বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগপত্রে তিনি জানান, গত ৩ জুলাই রাত ১টা ২০ মিনিটে ক্যাম্পাসের দূর্বার বাংলা সংলগ্ন রাস্তায় ৫-৬ জনের একটি দল তার ওপর হামলা করে।

'তারা আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আমাকে মারতে মারতে নিচে ফেলে দেয়। আমার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তারা,' বলেন তিনি।

হামলাকারীরা প্রয়াত অধ্যাপক ড. সেলিমের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।

দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'স্যারের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে আমি আন্দোলনে জড়িত ছিলাম। ওই ঘটনায় যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়েছিল তারাই আমার ওপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে এমন হামলার ঘটনা নজিরবিহীন। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় আছি। এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমার সঙ্গে আরও যারা আন্দোলনে ছিলেন তাদের ওপরও হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যাপক ইসমাঈল সাইফুল্যাহ স্যারের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা  গেছে। সেখান থেকে অপরাধীদের সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব।'

আজ সোমবার হামলার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কাজী সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, 'অভিযোগপত্র পেয়েছি। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছে৷ তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

২৫ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

17h ago