কুয়েটে এবার প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা শিক্ষক সমিতির

কুয়েট শিক্ষক সমিতি
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।

কুয়েটে শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সংঘর্ষ ও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় দোষীদের বিচারিক কার্যক্রম আগামীকাল সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে শেষ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

আজ রোববার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে শিক্ষকরা তাদের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন।

পরে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বাইরে গিয়ে প্রশাসন দোষীদের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে। সেই কারণে কুয়েটের শিক্ষাকার্যক্রম সংকটের মধ্যে পড়েছে। আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে প্রশাসন কোনো সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত না নিলে উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।

কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। কিন্তু আগে সেই পরিবেশ তৈরি করা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, গত ৫ মে শিক্ষক সিমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষকরা চলমান একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় বিচার কার্যক্রম শেষ না হলে সব ধরনের প্রশাসনিক কাজে (ডিসিপ্লিনারি কমিটির কার্যক্রম ছাড়া) সহযোগিতা থেকে বিরত থাকবেন শিক্ষকরা।

এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর পর থেকেই কার্যত অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় কুয়েটে। টানা প্রায় তিন মাস ধরে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। শিক্ষার্থীরা শুরুতে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করলেও পরে তা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে পরিণত করে। তাদের আন্দোলনের মুখে সরকার উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়।

এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে। তবে শিক্ষক সমিতির নেতারা ঘোষণা দেন, সংঘর্ষের সময় শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন না।

এ ঘটনায় ঘটিত তদন্ত কমিটি ৩৭ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু পরে সিন্ডিকেট সভায় সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। এরপর চলতি সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ৩৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এরপর ১৩ মে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পূর্ববর্তী তদন্ত কমিটি বাতিল করে নতুন তদন্ত কমিটি গঠনের লিখিত আবেদন জমা দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

Trump slaps allies Japan, South Korea with 25% tariffs

He posted letters to the leaders of those countries on his social media platform, Truth Social, to this end

Now