সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ হচ্ছে’
দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের জেলা সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এ দুটি জেলার নিম্নাঞ্চলে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এ অবস্থায় পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রেসকিউ বোট নিয়ে সহযোগিতা করবে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
তিনি বলেন, 'বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে। এ অবস্থায় পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছি। তারা রেসকিউ বোট নিয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করবেন।'
বন্যায় সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, সিলেট সদর উপজেলা এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার বড় অংশ প্লাবিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, মধ্যনগর, সদর উপজেলা এবং সুনামগঞ্জ শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, বন্যা আক্রান্ত সবকয়টি এলাকায় গতকাল রাত থেকেই বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিভিন্ন উপকেন্দ্র প্লাবিত হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সিলেটের কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১০৮ সেন্টিমিটার ওপরে, সিলেট নগরী পয়েন্টে ৭০ সেন্টিমিটার ওপরে এবং সুনামগঞ্জ শহর পয়েন্টে ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সারিগোয়াইন নদী সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সারিঘাটে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপরে, পুরাতন সুরমা নদী সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের মহিষখলায় ৪০৬ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জের লাউড়েরগড়ে ৩২০ মিলিমিটার, সিলেটের কানাইঘাটে ৮১ মিলিমিটার, সিলেট নগরীতে ৭৭ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জের ছাতকে ৩৬৫ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জ শহরে ৩৭৫ মিলিমিটার, সিলেটের লালাখালে ১৪৫ মিলিমিটার এবং সিলেটের জাফলংয়ে ২৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
Comments