বেতন না পাওয়ায় শ্রমিকদের পরিবার-পরিজন নিয়ে চলা দায় হয়ে পড়েছে।
গত বছরের তুলনায় চায়ের উৎপাদন ১০ শতাংশ অর্থাৎ পাঁচ লাখ কেজি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত এই বিপণন কার্যক্রম চলবে
‘আমরা নিয়মিত কাজে যাচ্ছি, পাতা তুলছি কিন্তু মজুরি পাচ্ছি না। কেউ এসে বিষয়টির মীমাংসাও করে দিচ্ছে না। সবাই শুধু আশ্বাস দিচ্ছে। আর কত না খেয়ে থাকব!’
মনু, ধলাই ও জুড়ি নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
‘এর আগেও দুই-তিনবার ক্লাসরুম পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু, টানা বৃষ্টির কারণে আবারও পানি উঠে গেছে এবং নিচতলা আবারও পানিতে তলিয়ে গেছে।’
চারদিকে বন্যার পানি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। পড়ালেখার সুযোগ নেই। খেলাধুলার পরিবেশও নেই কোথাও। এ অবস্থায় মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আটকে পড়া শিশুদের সহায় হয়ে উঠেছেন উপজেলার...
বিভিন্ন গবেষণার তথ্য অনুসারে, প্রাণীর বিভিন্ন রোগবালাইয়ের কারণে বাংলাদেশে বছরে ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বন্যায় বাড়ি ঘর প্লাবিত। একমাস ধরে ২ মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে নূরজাহান বেগম থাকছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ভূকশিমইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে। তাদের বাড়ি ওই এলাকার মদনগৌরী গ্রামে।
‘ঘর-দুয়ার ভাইঙ্গা গেছে। সবের কাপড়-চোপড় সবতা ভাসাইয়া লইয়া গেছে। এখন থাকার ওই জায়গা নাই। এক আত্মীয়র ভাঙ্গাছাঙ্গা বাড়িতে কোনোমতে ছিলাম। বাচ্চারার কাপড়ই কিনে দিতাম পাররাম না। মা অসুস্থ, ওষুধ কিনার...
আশ্রয়কেন্দ্রে পারভিন বেগম রান্না করছেন আলুবিরান (আলুভাজি), ডাল ও ভাত। ঈদের দিনে আর কিছু রান্না হয়নি তার।
‘রাত অইলে সাপ ও আফালের (ঢেউয়ের) ডরে ঘুম লাগে না। পানি এইবার খুব আস্তে কমের (ধীরগতিতে কমছে)। আকাশ মেঘলা অইলে আরও ডর করে, বৃষ্টিতে যদি আবারও পানি বাড়ে’, বলছিলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাকালুকি...
'জীবনে কোনোদিন আশ্রয়কেন্দ্রে ঈদ করছি না। ইবার বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্রে ঈদ করতে হবে। ইতা কোনো সময় কল্পনাও করিনি।'
হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে পরিবার নিয়ে আছেন তাজুল মিয়া। তিনি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার মুর্শিদাবাদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
হাকালুকি হাওর এলাকায় কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি। তবে গত মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি হওয়ায় পানি বাড়তে শুরু করেছে হাকালুকি হাওর অধ্যুষিত মৌলভীবাজারের উপজেলাগুলোয়। বৃষ্টি হলেই বাড়ে দুর্ভোগ। অনেক বাড়িতে এখনো পানি...
ঘরে পানি। থাকার আর উপায় নেই। পাশের ২ তলা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন হোসনা বেগম ও তার পরিবার।