সরকার যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করতে চায়, তাহলে তার আগেই পঞ্চদশ সংশোধনী এবং একইসঙ্গে ত্রয়োদশ সংশোধনীর রিভিউ নিষ্পত্তি করতে হবে।
আওয়ামী লীগের আমলে একজন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে তার বাবার হত্যায় ন্যায়বিচার পাবেন না বলে যে মন্তব্য করলেন, সেখানে ‘বিটুইন দ্য লাইন’ অনেক কথা আছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা বোঝার জন্য এটিও একটি সূত্র।
‘৭০ অনুচ্ছেদ আরও সহজ এবং তুলনামূলক গণতান্ত্রিক করলেও যে সংসদে এমপিরা নিজের দলের বিপক্ষে যায় এমন বিষয়ে কথা বলবেন—তার সম্ভাবনা কম।’
‘মূলত আমাদের পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাই যে আমলানির্ভর, ইসি আইনে তার প্রতিফলন স্পষ্ট। যারা সারা জীবন সরকারের নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন, অবসরে গিয়ে মোটা অংকের পেনশন পেয়েছেন আবার সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে...
গণতান্ত্রিক সমাজে অ্যাবসোলিউট স্বাধীনতা বলে কিছু নেই।
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া সেই মানুষগুলোকেই সুচিকিৎসার দাবিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পথ আটকাতে হলো!
‘কিন্তু বাস্তবতা হলো, যে দলের জনভিত্তি আছে, বিপুল ভোট ও জনসমর্থন আছে—তাদেরকে নির্মূল করা যায় না। রাষ্ট্রের সব অস্ত্র প্রয়োগ করে সাময়িকভাবে ওই দলকে দাবিয়ে রাখা গেলেও তার শেকড় উপড়ে ফেলা যায় না।’
অস্বীকার করার সুযোগ নেই, সংবিধানে এই যে ১৭ বার সংশোধন আনা হলো, তার অনেকগুলোই আনা হয়েছে ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তি ও দলের রাজনৈতিক স্বার্থে এবং সেজন্য অনেক ক্ষেত্রে মানুষের মৌলিক অধিকারও সংকুচিত হয়েছে।
এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশের বিপন্ন নদীগুলো পুনরুদ্ধার এবং দখল ও দূষণকারী এবং বালু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তিনি যেরকম সোচ্চার ছিলেন; যে সাহসী বক্তব্য দিয়েছেন—তা...
লাবণ্য দাশ মনে করেন, মৃত্যুর পরপার সম্পর্কে জীবনানন্দের একটা অদ্ভুত আকর্ষণ ছিল। মাঝে মধ্যেই তিনি বলতেন, মৃত্যুর পরে অনেক প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা হয়।
‘আমলাদের তুষ্ট করা বা খুশি রাখার এই প্রবণতা নতুন নয়। পদ না থাকার পরে অপ্রয়োজনে গণহারে পদোন্নতিও প্রশাসনে নিয়মিত। অথচ অন্য আরও অনেক সরকারি চাকরিজীবী বছরের পর বছর ধরে পদোন্নতির আশায় বসে থাকেন।’
নিরাপত্তা হেফাজতে কোনো নাগরিকের নির্যাতন বা মৃত্যু হলেও কতজন ভুক্তভোগী বা তাদের পরিবার মামলা করে কিংবা মামলা করার সাহস পায়?
বক্তিগত পর্যায়ে কে স্যাংশন পেলেন, কার ভিসা আটকে গেলো, কোন কোন সাংবাদিকের নাম তালিকায় থাকলো, কার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হলো—সেটি চূড়ান্ত বিচারে দেশের জন্য বড় কোনো খবর নয়। কিন্তু এই ইস্যুতে যদি...
সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের প্রতি অতি আনুগত্য প্রকাশ বা তোষামোদি আখেরে সরকারকে বিপদে ফেলে। বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বেশি তোষামোদি করতেন খন্দকার মোশতাক আহমদ। অথচ বঙ্গবন্ধুর খুনের মূল পরিকল্পনাকারীও এই মোশতাক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জো বাইডেন সেলফি তুলেছেন বলেই কি বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও অন্যান্য ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলে যাবে বা তারা কি তাদের এতদিনের...
এসব বিবৃতির সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্ব কতখানি? অর্থাৎ এসব বিবৃতির প্রভাব বা ফলাফল কী? যাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এসব বিবৃতি দেওয়া হয়, বিশেষ করে সরকার কি আদৌ এসব বিবৃতিকে গুরুত্ব দেয়? যদি...
আবুল মনসুর আহমদ ছিলেন একজন বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব। রাজনীতিবিদ হিসেবেই তিনি খ্যাত হলেও তার সাহিত্য, বিশেষ করে তার সাংবাদিকতার বিষয় নির্বাচন, ভাষা ও বলার ভঙ্গি একুশ শতকে এসেও কেন প্রাসঙ্গিক, সেই...
এখন ক্ষমতাসীনদের মধ্যে আতঙ্ক ভর করেছে যে, তারা ক্ষমতা থেকে চলে গেলে এক রাতের মধ্যেই বিরোধী পক্ষের দ্বারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন।