যে ঘটনার সংবাদমূল্য আছে, সেটি প্রকাশ ও প্রচারের দায়িত্ব যেমন গণমাধ্যমের, তেমনি সেই খবর এড়িয়ে যাওয়া বা চেপে যাওয়া সাংবাদিকতার নীতিমালারও পরিপন্থি।
নির্বাচনি ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে যদি অন্তর্বর্তী সরকারও দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে চায়, সেটি আগের সরকারেরই ধারাবাহিকতা বলে পরিগণিত হবে।
জাতিসংঘ সবসময় কি বাংলাদেশের কল্যাণে কাজ করবে? জাতিসংঘ কি এই অঞ্চলে নতুন কোনো রাষ্ট্র গঠন বা কোনো একটি দেশে বা দেশের সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হলে তার দায় নেবে? জাতিসংঘ যে মানবিক সংকটের কথা বলছে,...
রাখাইন অঞ্চলে আরাকান আর্মির কর্তৃত্ব যত বাড়বে, এই অঞ্চলের ভূরাজনীতি তত বেশি জটিল হবে।
বাস্তবতা হলো, দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের প্রধান শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বা একজন আরেকজনের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে গেলেও সেখানে যে রাজনীতির আলোচনা হয় না—সেটি ভাবার কোনো কারণ নেই।
যেসব দল রাজনীতিকে একশো মিটার দৌড় মনে করে তারা দ্রুতই হারিয়ে যায়। টিকে থাকে কেবল তারাই, রাজনীতিকে ম্যারাথন হিসেবে গ্রহণ করার ধৈর্য, শক্তি, সাহস ও জনভিত্তি যাদের আছে।
মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে চায় বা ফেরত নেয়ার যোগ্য মনে করে বলে যে সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে—তাতে এখনই আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই।
এই ঘোষণাপত্র তৈরির মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার, দেশের রাজনীতি এবং দেশ ও জনগণের কী লাভ হবে—সেসব প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
সরকার স্বীকার করুক বা না করুক, ৫ আগস্টের পর অপরাধ-প্রবণতা বেড়েছে। প্রতিনিয়তই গণমাধ্যমে খবর আসছে। পুলিশ এখনো পুরোপুরি ফাংশন করছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
১৯৭১ সালের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও শহীদের তালিকা প্রণয়নে বিলম্ব করা যাবে না এটি যেমন ঠিক, তেমনি তাড়াহুড়া করলেও ভুলভ্রান্তি থেকে যেতে পারে। এই ধরনের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়ায়...
আরাকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিরোধ পুরনো। সুতরাং পুরো রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে রোহিঙ্গারা আরও সংকটে পড়বে এবং সেখানেও হয়তো তাদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।
সরকার যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করতে চায়, তাহলে তার আগেই পঞ্চদশ সংশোধনী এবং একইসঙ্গে ত্রয়োদশ সংশোধনীর রিভিউ নিষ্পত্তি করতে হবে।
আওয়ামী লীগের আমলে একজন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে তার বাবার হত্যায় ন্যায়বিচার পাবেন না বলে যে মন্তব্য করলেন, সেখানে ‘বিটুইন দ্য লাইন’ অনেক কথা আছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা বোঝার জন্য এটিও একটি সূত্র।
‘৭০ অনুচ্ছেদ আরও সহজ এবং তুলনামূলক গণতান্ত্রিক করলেও যে সংসদে এমপিরা নিজের দলের বিপক্ষে যায় এমন বিষয়ে কথা বলবেন—তার সম্ভাবনা কম।’
‘মূলত আমাদের পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাই যে আমলানির্ভর, ইসি আইনে তার প্রতিফলন স্পষ্ট। যারা সারা জীবন সরকারের নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন, অবসরে গিয়ে মোটা অংকের পেনশন পেয়েছেন আবার সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে...
গণতান্ত্রিক সমাজে অ্যাবসোলিউট স্বাধীনতা বলে কিছু নেই।
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া সেই মানুষগুলোকেই সুচিকিৎসার দাবিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পথ আটকাতে হলো!