হলিউডে লেখক-অভিনয়শিল্পী ধর্মঘটে ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও অন্যান্য বিনোদন মাধ্যমের লেখকদের পাশাপাশি হলিউডের অভিনয়শিল্পীরাও ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও অন্যান্য বিনোদন মাধ্যমের লেখকদের পাশাপাশি হলিউডের অভিনয়শিল্পীরাও ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও অন্যান্য বিনোদন মাধ্যমের লেখকদের পাশাপাশি হলিউডের অভিনয়শিল্পীরাও ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই দ্বৈত ধর্মঘটে মার্কিন অর্থনীতিতে বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে—ক্ষতির পরিমাণ ছাড়াতে পারে ৪ বিলিয়ন ডলার। 

আজ শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

৬৩ বছরের মধ্যে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে অভিনেতা ও লেখকেরা একযোগে ধর্মঘট করছেন। এই ধর্মঘটে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে।

অনেক শীর্ষ তারকাসহ ১ লাখ ৬০ হাজার অভিনয়শিল্পীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন দ্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড জানিয়েছে, বেতন কমানো ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে কর্মক্ষেত্রে যে হুমকি তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে তাঁদের দাবির কোনো মীমাংসা হয়নি। কোনো ঐকমত্য ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে।

অর্থনীতি বিষয়ক মার্কিন গবেষণা সংস্থা মিলকেন ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক কৌশল বিভাগের প্রধান কেভিন ক্লাউডেন বলেন, এই দ্বৈত ধর্মঘটে অর্থনীতিতে ৪ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে, বিশেষত যদি অভিনেতারা খুব দ্রুত কোনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারেন।

তিনি আরও জানান, এর প্রভাব শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সীমিত থাকবে না। ধর্মঘটের প্রভাব ইংরেজি ভাষা প্রচলিত আছে এরকম আরও অনেক দেশেও ছড়িয়ে পড়বে, বিশেষত যেসব দেশে যেয়ে মার্কিন চিত্রনির্মাতারা সিনেমা ও টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণ করেন।

'সুতরাং লন্ডন ও সমগ্র যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও অন্যান্য জায়গা, যেখানে স্টুডিও আছে বা পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ হয়, সেখানেও এর প্রভাব পড়বে। 

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ধর্মঘট শুরু হওয়ার কথা (বাংলাদেশ সময় আজ শুক্রবার দুপুরে)। 

১৯৬০ সালের পর এই প্রথম হলিউডে লেখক ও অভিনেতারা একযোগে ধর্মঘট হচ্ছে। ১৯৮০ সালে অভিনেতাদের ইউনিয়ন ধর্মঘটে গিয়েছিল। তবে সেটি ৩ মাসের বেশি স্থায়ী হয়েছিল।

টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের বিরুদ্ধে ও ভালো বেতনের দাবিতে লেখকেরা ১১ সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট করছেন।

টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলো এ বছর দেরিতে শুরু হচ্ছে। ধর্মঘট চললে চলচ্চিত্রগুলোও আটকে যেতে পারে। 

বিশ্লেষকরা জানান, লেখকদের ধর্মঘটের কারণে চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠানের সংখ্যা কমে গেছে। অভিনেতাদের ধর্মঘটের কারণে সবকিছুই অচল হয়ে যেতে পারে। বড়জোর কিছু অ্যানিমেশন ও টক শো চলতে পারে।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

17h ago