আমি নিষ্পাপ: ট্রাম্প

প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

নিজেকে 'নিষ্পাপ' বলে দাবি করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সরকারি নথি নিজের কাছে রাখা ও ন্যায়বিচারে বাধা দেওয়ার অপরাধে অভিযোগ গঠনের পর তিনি এই দাবি করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় প্রকাশিত ৪ মিনিটের ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প নিজেকে আবারও নিষ্পাপ দাবি করেন। সেসময় তিনি অভিযোগ করেন যে, দেশটির বিচার বিভাগকে তার বিরুদ্ধে 'অস্ত্র' হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

তার বিরুদ্ধে তদন্তকে তিনি 'নির্বাচনে হস্তক্ষেপ' বলেও মন্তব্য করেন।

ভিডিওতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমি নিষ্পাপ। আমি কোনো ভুল করিনি।'

প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন, গোপনীয় সরকারি নথি রাখা ও ন্যায়বিচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

আগামী বছরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আবারও প্রেসিডেন্ট হতে চান ট্রাম্প। মার্কিন বিচার বিভাগের দায়ের করা সর্বশেষ এই ফৌজদারি মামলা ট্রাম্পের সে স্বপ্নের প্রতি আরেকটি আইনি প্রতিবন্ধকতা। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে ফৌজদারি মামলা চলছে। আগামী মার্চে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা আছে।

ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, তাকে মঙ্গলবার মায়ামির ফেডারেল আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। তিনি ট্রুথ সোশালে বড় হাতের ইংরেজিতে লেখেন, 'আমি একজন নিরপরাধ মানুষ!'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানিয়েছেন, মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

ট্রাম্প নিজেও এখনো অভিযোগগুলো সম্পর্কে জানতে পারেননি। সূত্র জানিয়েছেন, ট্রাম্পের আইনজীবীদের তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশের অংশ হিসেবে ৭ অভিযোগের বিষয়ে জানানো হয়েছে।

সিএনএনকে ট্রাম্পের আইনজীবী জিম ট্রাস্টি জানান, এসব অভিযোগের মধ্যে আছে ষড়যন্ত্র, মিথ্যা বিবৃতি, ন্যায়বিচারে বাধা ও গুপ্তচরবৃত্তি আইনের অধীনে গোপন নথি অবৈধভাবে রাখা।

তিনি আরও জানান, আগামী মঙ্গলবারের আগেই তিনি সব অভিযোগের বিস্তারিত জানতে পারবেন।

২০২১ সালে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়ম ভেঙে সরকারি গোপন নথি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন কি না, তা নিয়ে তদন্ত করছে বিচার বিভাগ।

প্রায় ১ বছর আগে ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বিলাসবহুল মার-আ-লাগো বাড়ি থেকে ১৩ হাজার নথি জব্দ করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ১০০টি নথিকে গোপনীয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এ ঘটনার মধ্য দিয়ে মার্কিন ইতিহাসে প্রথম একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হলেন ট্রাম্প।

গত এপ্রিলে তিনি ৩৪টি অভিযোগের বিপরীতে নিজেকে নিরপরাধ দাবি করেন। অভিযোগের মধ্যে আছে এক পর্ন তারকার মুখ বন্ধ রাখার জন্য দেওয়া ঘুষ।

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থিতার দৌড়ে অন্যদের থেকে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। রয়টার্স ও ইপসস পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর অন্যান্য সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থীদের তুলনায় ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Political parties want road map to polls

Leaders of major political parties yesterday asked Chief Adviser Prof Muhammad Yunus for a road map to reforms and the next general election.

6h ago