ইউক্রেন যুদ্ধের গোপন তথ্য ফাঁসকারীদের খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ফাইল ছবি: রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় নথি ফাঁসের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে বৈশ্বিক ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা দেশটি। এসব নথিতে মিত্রদের বিষয়ে সংবেদনশীল তথ্য, যেমন যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার বিপরীতে ইউক্রেনের দুর্বলতার বিস্তারিত বর্ণনা আছে।

আজ সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন গতকাল জানায়, তারা বিচার বিভাগের কাছে নথি ফাঁসের বিষয়টির তদন্তের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে। ফাঁস হওয়া নথিগুলো টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

প্রতিদিন এই নথিগুলো হালনাগাদ প্রতিবেদন আকারে তৈরি করা হচ্ছে। এগুলোয় মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট স্টাফের ইউক্রেন, চীন, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য আছে।

ফাঁস হওয়া তথ্যের বিষয়ে বিশ্লেষকদের মত—ওয়াশিংটন ঘনিষ্ঠ মিত্র ইউক্রেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরায়েলের ওপর গোয়েন্দাগিরি করে আসছে। বিষয়টি বাইডেনের প্রশাসনের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর হয়ে উঠতে পারে।

কিছু নথিতে তথ্যগত বিভ্রাট আছে। যেমন, যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ পক্ষে হতাহতের সংখ্যাকে অনেক কম দেখানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, এগুলো ভুয়া নথি ও ভুল তথ্য ছড়িয়ে সার্বিকভাবে মার্কিন নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এগুলো তৈরি হয়েছে—এমন সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথিতে প্রচুর 'কাল্পনিক তথ্য' আছে। এ ঘটনায় রুশদের মিথ্যে তথ্য ছড়ানোর প্রচারণার অংশ হওয়ার ইঙ্গিত আছে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারির তারিখযুক্ত ১ গোপন 'নথিতে' জানানো হয়েছে, বর্তমান গতিতে যুদ্ধ এগোতে থাকলে আগামী মে মাসের মধ্যে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাবে।

অপর এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিতর্কিত বিচার বিভাগের সংস্কার উদ্যোগের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভকে উসকে দিয়েছে।

গতকাল এই অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন' বলে অভিহিত করেছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের অফিস গতকাল ফাঁস হওয়া তথ্যের বিষয়ে জানিয়েছে, এ নিয়ে তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

6h ago