কেমন ছিল বিটিএস লিডার আরএমের সামরিক সেবার দিনগুলো

দক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের দলনেতা আরএম (কিম নামজুন) বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা শেষ করে সাধারণ জীবনে ফিরেছেন। সামরিক বাহিনী থেকে ফিরে দেড় বছরের বেশি সময় পর প্রথমবার একক লাইভে আসেন এই বিটিএস সদস্য। সেখানে তিনি সামরিক প্রশিক্ষণের সময়ের নানা অভিজ্ঞতার কথা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
সামরিক প্রশিক্ষণে মানসিক কষ্ট
বলিউড লাইফের প্রতিবেদেন অনুযায়ী লাইভে তিনি জানান, সামরিক জীবনে তাকে অনিদ্রার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তিনি বলেন, এমন অবস্থা হয়েছিল-তিনি যেন ঘুমবঞ্চিত এক 'জোম্বি'তে পরিণত হয়েছিলেন এবং তাকে সাইকিয়াট্রিক চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
আরএমের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
লাইভ চ্যাটে আরএম অকপটে বলেন, তিনি চরম মানসিক দুশ্চিন্তা ও ঘুমহীনতার মধ্যে ছিলেন। এমনকি তাকে নিউরোসাইকিয়াট্রিস্টের কাছেও যেতে হয়েছে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছেন। না ঘুমানোর ভয় এখনো তাকে পীড়া দেয়।
নিদ্রাহীনতার উৎপত্তি
এই সমস্যা শুরু হয়েছিল যখন সামরিক প্রশিক্ষণের সময় টানা ৭৮ ঘণ্টা জেগে থাকতে হয়েছিল। এই অভিজ্ঞতা তার প্রতিদিনের কাজকর্মে প্রভাব ফেলে এবং রাতের বেলা তিনি এক ধরনের আতঙ্কে ভুগতেন। ২০২৪ সালে এই অনিদ্রা ও উদ্বেগ শুরু হয় এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে তিনি একদম ভেঙে পড়েন।
ঘুমের জন্য ওষুধ নির্ভরতা
আরএম বলেন, এই মানসিক যন্ত্রণার কারণে সৃজনশীলতা স্থবির হয়ে পড়ে। ১৪ বছর বয়স থেকে তিনি যেভাবে গান লিখতেন, তা বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও বর্তমানে তিনি কিছুটা ভালো আছেন। তবে এখনো ঘুমের জন্য তাকে ওষুধ খেতে হয়।
ভক্তদের সঙ্গে আন্তরিক যোগাযোগ
ভক্তদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় আরএম বলেন, 'তোমাদের খুব মিস করেছি, আর্মিরা। আমি আর্মিতে ছিলাম, কিন্তু আর্মিকে দেখতে পারিনি… বুঝতে পারছো? আমি আর্মিতে ছিলাম, কিন্তু সেখানে কোনো বিটিএস আর্মি ছিল না।'
ভক্তদের প্রতিক্রিয়া
এই খোলামেলা কথাবার্তা শুনে অনেক ভক্ত মন্তব্য করেছেন। একজন লেখেন, 'এই লাইভটার জন্যই তো আমরা বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের আরএম ফিরে এসেছেন।' আরেকজন লেখেন, 'কিম নামজুন, আমার শিল্পী, আমার কবি, তুমি কতটা কষ্ট পেয়েছো কে জানে!'
বিটিএস পুনর্মিলন
লাইভে আরএম ভক্তদের জন্য একটি বড় ইঙ্গিতও দেন—বিটিএসের পুনর্মিলনের। তিনি জানান, সুগা ২১ জুন সামরিক সেবা শেষ করবেন। তিনি বলেন, 'আমাদের পরবর্তী অ্যালবামের জন্য প্রস্তুত থাকো। এটা হতে যাচ্ছে বিশাল কিছু!'
Comments