দখলকৃত ক্রিমিয়া-দনেৎস্কে পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সেভাসতোপলের গভর্নর মিখাইল রাজভোঝায়েভ শিশুদের আর্ট ও অ্যাসথেটিক সেন্টার সফর করেন। ছবি: রয়টার্স
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সেভাসতোপলের গভর্নর মিখাইল রাজভোঝায়েভ শিশুদের আর্ট ও অ্যাসথেটিক সেন্টার সফর করেন। ছবি: রয়টার্স

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা সত্ত্বেও তিনি আনুষ্ঠানিক সফরে ইউক্রেনের দনেৎস্ক প্রদেশের শহর মারিউপোলে গেছেন। এক দিন আগে গেছেন ক্রিমিয়া প্রদেশে।  

আজ রোববার রুশ সংবাদমাধ্যম তাসের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, পুতিন হেলিকপ্টারে করে মারিউপোলে এসে পৌঁছান। দনেৎস্ক প্রদেশের এ শহরটি গত বছরের মে মাস থেকে রুশ বাহিনীর দখলে আছে।

পুতিন নিজে গাড়ি চালিয়ে শহরটির বিভিন্ন প্রশাসনিক এলাকায় ঘুরে বেড়ান। তিনি বেশ কয়েক জায়গায় যাত্রা বিরতি নেন এবং শহরবাসীদের সঙ্গে আলাপ করেন।

এক দিন আগেই পুতিন ক্রিমিয়া দখলের নবম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য উল্লেখিত অঞ্চলে যান। আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে মস্কো। রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা গেছে পুতিন শনিবার কৃষ্ণ সাগরের বন্দর নগরী সেভাসতোপল সফরে  গেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন মস্কোর নিযুক্ত গভর্নর মিখাইল রাজভোঝায়েভ।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সেভাসতোপলের গভর্নর মিখাইল রাজভোঝায়েভ শিশুদের আর্ট ও অ্যাসথেটিক সেন্টার সফর করেন। ছবি: রয়টার্স
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সেভাসতোপলের গভর্নর মিখাইল রাজভোঝায়েভ শিশুদের আর্ট ও অ্যাসথেটিক সেন্টার সফর করেন। ছবি: রয়টার্স

২০১৪ সালে এক গণভোটের পর ক্রিমিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অংশ করে নেয় পুতিন সরকার। তবে এই গণভোট ও এর ফলাফলকে কিয়েভ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃতি দেয়নি।

এদিকে ইউক্রেন থেকে বেআইনিভাবে শিশুসহ বহু মানুষকে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শুক্রবার আইসিসির পক্ষ থেকে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়া হয়েছে। তবে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পুতিনকে গ্রেপ্তার করার কোনো বাস্তবসম্মত উপায় আছে বলে ভাবছেন না বিশ্লেষকরা।

পরোয়ানা দেওয়ার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছেন, 'আমাদের দেশে আইসিসির এই সিদ্ধান্ত কোনো অর্থ বহন করে না। এমনকি, আইনগত দিক থেকেও না।'

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সাধুবাদ জানালেও ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার বিচারের সম্ভাবনা খুবই কম।

পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকে 'টয়লেট পেপার'-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Jatiyo Party's office set on fire in Khulna

Protesters vandalised the Jatiyo Party office in Khulna's Dakbangla area last evening

1h ago