গাজায় ২ ইসরায়েলি সেনা নিহত, সংখ্যা বেড়ে ৩১৪
গাজার কেন্দ্রে অবস্থিত গাজা সিটিতে হামাসের মর্টার হামলায় দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। যার ফলে গাজায় চলমান সংঘাতে নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা বেড়ে ৩১৪ হয়েছে।
আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
নিহত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সেনারা হলেন সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস ওমর স্মাগদা (২৫)। তিনি গানোত হাদার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং আলেক্সান্দ্রোনি ব্রিগেডের নয় হাজার ২০৩তম ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন।
অপর নিহত সেনা হলেন তেল আবিবের বাসিন্দা সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস সাদিয়া ইয়াকভ দেরাই (২৭)। তিনিও একই ব্রিগেড ও ব্যাটালিয়নের সদস্য।
ওমর ও ইয়াকভ উভয়ই এই ব্যাটালিয়নের 'রিজার্ভ সেনা' ছিলেন বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আলেক্সান্দ্রোনি ব্রিগেডের আরও তিন সেনা এই হামলায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের পক্ষে ১৯৯২ সালের অলিম্পিকে জুডোতে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন ওমরের বাবা ওরেন স্মাগদা। লিকুদ পার্টির সদস্য ও সংবাদ বিশ্লেষক লালি দেরাইয়ের সন্তান ইয়াকভ।
গতকাল বৃহস্পতিবার হামাস এই হামলার দায় নিয়েছে। গাজা সিটির জেইতুন মহল্লায় ইসরায়েলি সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্য করে তারা মর্টার হামলা চালায়।
এই দুই সেনার মৃত্যুতে হামাসের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা বেড়ে ৩১৪ হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও আছেন, যিনি জিম্মি উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়ার সময় নিহত হন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ১৭০ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে কিছু সেনা সদস্য রয়েছেন। তবে তারা এই ২৯৯ জন নিহতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নন। মূলত স্থল হামলা শুরুর পর থেকে নিহতদের নাম এই তালিকায় যোগ করে ইসরায়েল।
এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৭ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৭ হাজার ৪০০। আহতের সংখ্যা অন্তত ৮৫ হাজার ৬৫৩। হতাহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
Comments