এবার এডেন উপসাগরে মালবাহী জাহাজে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইয়েমেনের রাজধানীতে একটি চেকপয়েন্টে অপেক্ষা করছেন হুতি যোদ্ধারা। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইয়েমেনের রাজধানীতে একটি চেকপয়েন্টে অপেক্ষা করছেন হুতি যোদ্ধারা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

এডেন উপসাগরে একটি মালবাহী জাহাজে ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।

মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের (সেন্টকম) বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

এম/ভি এমএসসি স্কাই টু নামের জাহাজের উদ্দেশে দুইটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হুতিরা, যার একটি জাহাজে আঘাত হেনেছে। সেন্টকম জানায়, এতে জাহাজটি 'ক্ষতির' শিকার হয়েছে।

এক বিবৃতিতে সেন্টকম জানায়, প্রাথমিক তথ্য মতে জাহাজে কেউ হতাহত হয়নি। লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ও সুইস মালিকানাধীন জাহাজটি কারও কাছে সহায়তা চায়নি এবং নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে এগিয়ে গেছে।

হুতিদের এক মুখপাত্র সোমবার জানান, তারা এই জাহাজের দিকে 'কয়েকটি কার্যকর নৌ-ক্ষেপণাস্ত্র' নিক্ষেপ করেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই হুতি বিদ্রোহীরা গাজায় চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও তাদের মিত্রদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।

মার্কিন সেনাবাহিনী আরও জানায়, হুতিরা ইয়েমেন থেকে লোহিত সাগরের দক্ষিণেও একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পানিতে পড়ে এবং এতে বাণিজ্যিক বা মার্কিন নৌবাহিনীর কোনো নৌযানের ক্ষতি হয়নি। 

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সেন্টকমের বাহিনী 'আত্মরক্ষার্থে' দুইটি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে হামলা চালায়। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এ অঞ্চলের বাণিজ্যিক জাহাজ ও মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজের বিরুদ্ধে 'তাৎক্ষণিক হুমকি' হওয়ায় তারা এই উদ্যোগ নেয়।

ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হুতির কাছে রয়েছে অসংখ্য অত্যাধুনিক অস্ত্র। ফাইল ছবি: এএফপি
ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হুতির কাছে রয়েছে অসংখ্য অত্যাধুনিক অস্ত্র। ফাইল ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সম্প্রতি ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে। দেশ দুইটি হুতিদের নতুন করে সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমাও দিয়েছে।

লোহিত সাগরে হুতিদের হামলায় সারা বিশ্বে বাণিজ্যিক নৌচলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। যার ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান এই নৌপথ এড়িয়ে অন্য পথে (দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে) মালামালা আনা নেওয়া করছে। এতে সার্বিকভাবে নৌপরিবহনের সময় ও খরচ বেড়েছে, যার প্রভাব পড়ছে পণ্যের দামে।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, হুতিদের হামলা অব্যাহত থাকলে সামগ্রিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে এবং ছড়িয়ে পড়তে পারে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ।

Comments

The Daily Star  | English
Barishal University protest

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

10h ago