গাজায় আবারও ইসরায়েলি হামলা শুরু

আজ গাজা শহরে নতুন করে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।
যুদ্ধবিরতি শেষে ইসরায়েলের হামলায় রাফাহ অঞ্চলে আহত হন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: রয়টার্স
যুদ্ধবিরতি শেষে ইসরায়েলের হামলায় রাফাহ অঞ্চলে আহত হন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: রয়টার্স

গাজা উপত্যকায় টানা সাত সপ্তাহ নির্বিচার হামলা চালানোর পর কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল, হামাসের বিরুদ্ধে সংঘাতে বিরতি নিতে সম্মত হয়। বন্দি ও জিম্মি বিনিময়ের শর্তে এই বিরতির মেয়াদ শেষ হতে না হতেই ইসরায়েল আবারো গাজায় হামলা শুরু করেছে।

আজ শুক্রবার বার্তাসংস্থা এএফপি ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় আবারও হামলা শুরু করেছে।

আজ গাজা শহরে নতুন করে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।

সাত দিন শেষে আজই গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে কোনো ঘোষণা এখনো আসেনি। এর মধ্যেই এ হামলা হলো।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, 'হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করেছে এবং এর পাশাপাশি তারা ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যার ফলে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে আবারও হামলা শুরু করেছে।'

এ ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণ আগেই গাজা উপত্যকা থেকে ধেয়ে আসা একটি রকেট প্রতিহতের দাবি জানায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।

গাজা থেকে এএফপির এক সাংবাদিক জানান, 'ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে বেশ কয়েকবার হামলা চালানো হয়েছে। গাজা সিটিতেও (শহরে) গোলাবর্ষণের খবর পেয়েছি আমরা।'

গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে এএফপির অপর এক প্রতিনিধি জানান, ওই এলাকায় ড্রোনের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর প্রথমবারের মতো এমন শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাস। এই ঘটনায় এক হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৪০ জন জিম্মি হন।

সেদিন থেকেই ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করার অঙ্গীকার নিয়ে টানা সাত সপ্তাহ ধরে গাজায় নিরবচ্ছিন্ন ও প্রতিশোধমূলক স্থল-বিমান হামলা চালাচ্ছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের ৪০ শতাংশই শিশু।

গাজায় ইসরায়েলের টানা ৫১ দিনের হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুই দফায় বাড়ানো হয় সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ।

তবে গাজায় নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই বলে ভাবছেন বিশ্লেষকরা।

৭ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় হামাস ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। এর মধ্যে ৮০ জন ইসরায়েলি নাগরিক এবং অন্যরা বিদেশি। বিনিময়ে ২৪০ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দী মুক্তি পেয়েছেন।

এ ছাড়া যুদ্ধবিরতির আওতায় ত্রাণবাহী গাড়িকে গাজা উপত্যকায় ঢুকতে দিয়েছে ইসরায়েল।

 

Comments