আজ ‘কমন সেন্স ব্যবহার’ দিবস
আজ 'ইউজ ইওর কমন সেন্স' দিবস। সহজ বাংলায় বলতে গেলে বলতে হবে, কাণ্ডজ্ঞান ব্যবহার দিবস। প্রতি বছরের ৪ নভেম্বর এই দিবসটি উদযাপন করা হয়। আসলে আমাদের প্রতিদিনের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার কমন সেন্স। যার মাধ্যমে আমরা যেমন নিজেদের রক্ষা করতে পারি, অন্যরাও নিরাপদে থাকে।
কমন সেন্স হলো সাধারণ ও সংবেদনশীল বিষয়ের যুক্তিসঙ্গত ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রয়োগ জ্ঞান। যেমন- আলু ফ্রিজে না রাখা বা রাস্তার ডান পাশ দিয়ে গাড়ি না চালানো। এই সিদ্ধান্ত নিতে পারাও কিন্তু এক ধরনের কমন সেন্স।
কমন সেন্স দিবস উইল রজার্সের জন্মদিনকেও ইঙ্গিত করে। তিনি বলেছিলেন, কমন সেন্স এত সাধারণ বিষয় নয়। তাই প্রতিদিনের জীবনে অপ্রয়োজনীয় বিপদ এড়াতে এবং সুযোগের সর্বাধিক ব্যবহার করতে কমন সেন্স থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ভার্চুয়াল জীবনে মানুষের কমন সেন্স নিয়ে নানা প্রশ্ন থেকেই যায়।
ধারণা করা হয় কমন সেন্স একটি প্রাচীন বিষয় এবং সর্বপ্রথম প্রখ্যাত দার্শনিক অ্যারিস্টটল লাইমলাইটে আনেন। তিনি এটিকে এমন ক্ষমতা হিসেবে বর্ণনা করেন, যার সাহায্যে প্রাণীরা (মানুষসহ) ইন্দ্রিয় উপলব্ধি, স্মৃতি এবং কল্পনাকে বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। তবে, চিন্তাধারার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মানুষেরই বাস্তবে যুক্তিযুক্ত চিন্তাভাবনার ক্ষমতা আছে। যা মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করেছে।
ফরাসি দার্শনিক রেনে দেকার্ত কমন সেন্স নিয়ে সবচেয়ে আধুনিক সংজ্ঞা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সবার একই রকম এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে কমন সেন্স থাকে। তবে, খুব কম মানুষই এটিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করেন।
বর্তমানে কমন সেন্স হয়ে উঠেছে আমাদের ব্যবহারিক জ্ঞান এবং বিচারের একটি মৌলিক স্তর। যা সবাইকে যুক্তিসঙ্গতভাবে এবং নিরাপদে বাঁচতে সহায়তা করে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, কমন সেন্সের সঠিক ব্যবহারে যে কেউ অনেক সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
কমন সেন্স ডে চালু করেছিলেন ক্যারিয়ার মেন্টর, মোটিভেশনাল স্পিকার, ব্লগার এবং লেখক বাড বিলানিচ। তিনি কিছু টিভি শো এবং ম্যাগাজিনে অভিনয় করেছেন এবং ১৯টি বই লিখেছেন। ২০১৫ সালে প্রথম কমন সেন্স দিবস পালন করা হয়।
Comments