বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের তোপের মুখে হাইকোর্ট ছাড়লেন শাহজাহান ওমর, গেলেন ডিবিতে

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গেও দেখা করতে পারেননি শাহজাহান ওমর।
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ ছাড়ছেন শাহজাহান ওমর
বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ ছাড়ছেন শাহজাহান ওমর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের তোপের মুখে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেছেন ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার পর দুপুর দেড়টার দিকে তিনি যান ডিবি কার্যালয়ে।

বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর গত ২৯ নভেম্বর নাশকতা মামলা থেকে জামিন পেয়ে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়নপত্র তোলেন। পরে বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। 

আজ বুধবার তিনি হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে গেলে বিএনপিপন্ত্রী আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যান শাহজাহান ওমর।

এর আগে, সেখানে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি শাহজাহান ওমর।

প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত সচিব হাসান আরিফুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিনিয়র আইনজীবী মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর সকাল ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রধান বিচারপতি আদালতের কাজে ব্যস্ত থাকায় দেখা করতে পারেননি।'

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান ওমর আজ পুলিশি নিরাপত্তায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যান।

সুপ্রিম কোর্ট থেকে বের হয়ে দুপুর দেড়টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে যান শাহজাহান ওমর।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাশকতার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় কিছুদিন আগে ডিবি পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল। 

আজ শাহজাহান ওমর কেন ডিবি কার্যালয়ে গেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান হারুন সাংবাদিকদের বলেন, 'সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে গোয়েন্দা পুলিশের সাহায্য নিতে তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন।'

এসব বিষয়ে মন্তব্য জানতে শাহজাহান ওমরকে ফোন করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Police didn't follow int'l standards while using lethal weapons: IGP

Police failed to adhere to the standards in home, which they have maintained during their UN missions, Mainul Islam said

4h ago