৬০-৮০ ভাগ ভোট না আসলে স্যাংশন আসবে: শাহজাহান ওমর

শাহজাহান ওমর। ছবি: সংগৃহীত

ঝালকাঠি-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা শাহজাহান ওমর বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬০-৮০ ভাগ ভোটার না আসলে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্যাংশন দেবে।

আজ রোববার কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শাহজাহান ওমর বলেন, 'নির্বাচনকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নাই। এই নির্বাচনটা কঠিন থেকে কঠিনতর নির্বাচন। এখন বলেন, কেন? আপনার তো কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নাই, হয়ে গেছেন।'

তিনি বলেন, 'নির্বাচন দুই প্রকারের। একটা হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক, সব দল মিলে করে। সেখানে ২০, ৩০, ২৫ পার্সেন্ট ভোট পাইলেও সমস্যা নাই। আরেকটা নির্বাচন হলো কমপিটেটিভ, প্রতিযোগিতামূলক। এখানে যেহেতু বড় কয়েকটা দল নাই, এখানে যদি আমরা ৬০, ৭০, ৮০ ভাগ ভোট না দেখাতে পারি, মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনার দেশে ও বিদেশে অনেক শত্রু আছে, তারা চায় না উনি প্রধানমন্ত্রীত্ব করুক। যদি আপনারা ভোট সঠিকভাবে ৬০ এর উপরে না দিতে পারেন, তখন তারা প্রচার মাধ্যমে বলবে, এই ভোট হয় নাই। এই ভোটকে আমরা বৈধতা দেই না।'

তিনি আরও বলেন, 'এই ভোটের ফলাফলে বঙ্গভবনে যে শপথবাক্য পাঠ হবে, সেখানে দুষ্টভাবাপন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত হবেন না। তারা বিভিন্ন দেশে—ওরা বেশি শক্তিশালী, অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল—প্রচার করবে এই নির্বাচন হয় নাই। কয়েকটি কচিকাঁচার লোক ভোট দিয়েছে। এই নির্বাচন হয় নাই।'

শাহজাহান ওমর আশঙ্কা করেন, 'ওরা আমাদের দেশে অর্থনৈতিক স্যাংশন দেবে, ভিসা স্যাংশন দেবে, গার্মেন্টসে স্যাংশন দেবে, ম্যানপাওয়ারে স্যাংশন দেবে—নানা চেষ্টা করবে। আর যদি অন্য সেরকম দল নাও আসে, আর আপনারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ৬০ থেকে ৭০-৮০ ভাগ ভোট দিয়ে যান, তাহলে নেত্রীর মুখটা বড় করবেন। তিনি বলতে পারবেন, আমি তো কারো ভোট জোর করে আনি নাই। আমি তো মরা মানুষের ভোট দেই নাই। আমি তো কেন্দ্রে সিল টাকাই নাই। জনগণ কেন মারছে? পার্টি আসে নাই, সেটা অন্য জিনিস। জনগণ ভোটের পক্ষে ছিলেন, না ছিলেন না? এ জন্য আপনাদের ৬০, ৭০, ৮০ ভাগ ভোট দিতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Not for kidney patient, they tried to rob bank for iPhones

Police say three robbers fabricated a story claiming that the robbery was to save a kidney patient

32m ago