বগুড়ায় গণঅধিকার পরিষদের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

ছাত্রলীগের দাবি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের প্রতিহত করেছে
শুক্রবার সকাল ১০টায় বগুড়ার সাতমাথায় গণ অধিকার পরিষদের মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছাত্র অধিকার পরিষদের ১৮ কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বগুড়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান পলাশ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০টায় বগুড়ার সাতমাথায় আমাদের ছেলেরা (ছাত্র-অধিকার পরিষদের) জড়ো হতে থাকে। দুপুর ১১টার সময় পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। পুলিশ বলে, আমাদের নাকি অনুমতি দেওয়া হয়নি। অথচ গতকাল আমরা ডিসি ও এসপিকে আজকের মানববন্ধনের বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম।'

'পুলিশের বাঁধার পর আমরা প্রোগ্রামটি ছোট করে মিছিল নিয়ে বগুড়া ইয়াকুবিয়া স্কুলের দিকে যাচ্ছিলাম। এমন সময় লাঠি-সোটা নিয়ে পেছন থেকে মিছিলে হামলা করে শহর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর ২০ মিনিট পর বগুড়া পিটিআই ট্রেনিং সেন্টারের সামনে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব সাহার নেতৃত্বে আমাদের ওপর দ্বিতীয়বার হামলা করে ছাত্রলীগ,' বলেন তিনি।

তৃতীয় দফায় শহরের রহমান নগরে সংগঠনটির ৪-৫ কর্মীকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পলাশ।

তিনি বলেন, '৩ দফায় হামলায় আমাদের প্রায় ১৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বগুড়া শেরপুর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রকির মাথা লাঠির আঘাতে ফেটে গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়া, মজিবুল্লাহ, শহীদ, বগুড়ার ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী বেশি আহত হয়েছেন।'

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ।

জানতে চাইলে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্র অধিকারের মিছিলে ছাত্রলীগ হামলা করেনি। আমরা শুনেছি আজ সাতমাথায় তাদের প্রোগ্রাম ছিল। অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাদের বাধা দিয়েছে। পরে বগুড়ার সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের মিছিলে তাদের প্রতিহত করেছে বলে শুনেছি।'

শুক্রবার সাধারণ শিক্ষার্থী কোথা থেকে আসলো জানতে চাইলে সজীব বলেন, 'আমরা শুনেছি যে বগুড়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করেছে।'

পুলিশের বাধার বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রোগ্রামের জন্য তারা আবেদন করেছিল কিন্তু অনুমতি পায়নি। তাই পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের বাধা দিয়েছে।'

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, 'ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগের বিষয়ে আমরা কিছু এখনো জানিনা। এই বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি।'

Comments

The Daily Star  | English

5 killed as two buses collide in Faridpur

Five people were killed and at least 15 others injured in a head-on collision between two buses in Faridpur early today

Now