রংপুরে যাওয়ার পথে নীলফামারীর বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধার অভিযোগ

পথে বাধার পরও রংপুরে সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন নীলফামারীর বিএনপির নেতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আগামীকাল শনিবার বিএনপির গণসমাবেশে উপলক্ষে দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আজ শুক্রবার ভোর থেকেই নীলফামারী থেকে যাত্রা করেন।

বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তারা দলে দলে বিভক্ত হয়ে ব্যাটারিচালিত চার্জার অটো রিকশা, ভ্যান, সিএনজি ও অন্যান্য ছোট ছোট যানবাহনে করে রওনা হন।

গণসমাবেশ আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে আজ ও আগামীকাল রংপুর বিভাগ বাস মালিক সমিতি সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবীতে পরিবহন ধর্মঘট ডাকায় কর্মীরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিকল্প উপায়ে আজ থেকেই রওনা দিয়েছেন।

ভোরের দিকে বাধার সম্মুখীন না হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সৈয়দপুর, তারাগঞ্জ, শলেয়াশা, পাগলাপীর ও অন্যান্য স্থানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ পারভেজ প্রিন্স দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা প্রায় ৫০ জন সকাল ১০টার দিকে রংপুরের সন্নিকটে পাগলাপীর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছালে সেখানে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ তাদের থামিয়ে দেয়। ছাত্রলীগ অভিযোগ করে যে যোগদানকারীদের সঙ্গে জামাত-শিবিরের সদস্যরাও আছে এবং তাদের নামিয়ে দিতে বলে। এ সময় তারা গালিগালাজও করে।

মারুফ জানান, এক পর্যায়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রুখে দাঁড়ালে তারা পিছু হটে যেতে বাধ্য হয়।

সমাবেশ অভিমুখী নীলফামারী জেলার বিএনপি নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, যাত্রাপথে রংপুরের সিও বাজার এলাকায় পুলিশ অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার অভিযোগ তুলে যানবাহন থামিয়ে দিচ্ছে এবং যাত্রা বিলম্বিত করছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম আজ দুপুরে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নীলফামারী থেকে কয়েক হাজার মানুষ গণসমাবেশে যোগ দিতে ইতোমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গেছেন। তারা বর্তমানে কর্মসূচী স্থলেই অবস্থান করছেন। রাতেও তারা জেগে থেকে সমাবেশ মঞ্চ পাহারাসহ অন্যান্য নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করবেন।'

'আমাদের অনেকেই সঙ্গে করে চিড়া-মুড়ি নিয়ে এসেছেন। প্রতিকুল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেগুলো খেয়েই থাকবে, তিনি যোগ করেন।

জহুরুল আলমের অভিযোগ, 'গণসমাবেশের সময় পরিবহন ধর্মঘট সরকারি ইশারায় হয়েছে।'

এ ধরনের নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের দ্বারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জেগে ওঠা জনতার জোয়ার ঠেকানো যাবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

12m ago