বিভাগের ৭ জেলা থেকে রংপুর যায়নি কোনো বাস
রংপুরের পরিবহন মালিক সমিতি আগামীকাল শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে ৩৬ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। তবে তার আগেই আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে বিভাগের ৭ জেলা থেকে রংপুরগামী বাস চলাচল অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে।
সন্ধ্যা থেকে রংপুর বাস টার্মিনালে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম থেকে কোনো বাস যেতে দেখা যায়নি।
তবে রংপুর বাস টার্মিনাল থেকে কিছু বাস বিভাগের বিভিন্ন জেলার দিকে ছেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
রংপুরের পরিবহন শ্রমিকরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ সকাল থেকেই রংপুরগামী বাসের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম এবং বিকেলের দিকে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে পরবর্তী ১ ঘণ্টার বেশি সময়ের মধ্যে রংপুর টার্মিনালে অবস্থান করে দেখা গেছে, সেখানে কোনো বাস পৌঁছায়নি।
শুধু কিছু বাস টার্মিনাল ছেড়ে ঢাকা ও অন্যান্য জেলার দিকে রওনা হতে দেখা যায়। এছাড়া, দুরপাল্লার গাড়ি বিশেষ করে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার গাড়ি রংপুরের ওপর দিয়ে অন্যান্য জেলায় যেতে দেখা গেছে।
দিনাজপুরের পরিবহন শ্রমিকরা জানান, দিনাজপুর বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন রুটে বাস ছেড়ে গেলেও, রংপুরের উদ্দেশে গতকাল সন্ধ্যা থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
জানতে চাইলে দিনাজপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতি ভবানী শংকর আগরওয়ালা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যেহেতু রংপুরের মালিক সমিতি ধর্মঘট ডেকেছে, তাই রংপুরে কোনো গাড়ি যাবে না।'
আগামী শনিবার রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সমাবেশে অংশ নিতে বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা রংপুরে জড়ো হতে শুরু করায় বাস মালিকরা তড়িঘড়ি করে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব দুলু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করায় পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেন।'
'বিএনপির সমাবেশ বানচাল করতে আওয়ামী লীগ রংপুরে পরিবহন ধর্মঘট করাচ্ছে,' অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, 'অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশে জনসমাগম দেখে সরকার ভয় পেয়েছে।'
মহাসড়কে ৩ চাকার গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে শনিবার রংপুরে বিএনপির সমাবেশের আগে শুক্রবার থেকে ৩৬ ঘণ্টার ধর্মঘটের কথা জানিয়েছে রংপুরের পরিবহন মালিকরা।
শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর খুলনার বিভাগীয় গণসমাবেশের আগেও সেখানকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা একই দাবিতে বাস ধর্মঘটের ডাক দেন। এতে ২ দিন ধরে বাস বন্ধ থাকায় গণসমাবেশমুখী নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
পরিবহন মালিক সমিতির ডাকে বাস ধর্মঘটের ঘটনা ঘটেছিল ১৫ অক্টোবর বিএনপির ময়মনসিংহের বিভাগীয় গণসমাবেশের আগেও।
Comments