কিশোরগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষ: পুলিশের মামলায় বিএনপির ২৩ নেতাকর্মী কারাগারে

পাকুন্দিয়া
শনিবার পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে শনিবারের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির ২৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ২৩ জনকে আজ রোববার পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার জাহান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার সকালে পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় পুলিশসহ প্রায় শতাধিক আহত হন।

পরে শনিবার রাতেই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে মোট ১ হাজার ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।

পাকুন্দিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ কামাল বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন।

কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'শনিবার বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি ছিল না। সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা থেকে মিছিল নিয়ে তারা পৌরবাজারের দিকে আসতে চাইলে সংঘর্ষের সূত্রপাত। প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। সংঘর্ষে ১১ জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।'

পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির সহ-আহ্বায়ক মো কামাল উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ বিনা উস্কানিতে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও পুলিশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এ ঘটনায় আমাদের দলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত দুই কর্মীর একজন ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিউইতে চিকিৎসাধীন আছেন।'

আওয়ামী লীগ নেতা ও পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম আকন্দ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির আগুন সন্ত্রাসকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

In Ctg, red bulls remain tied to Eid tradition

In Chattogram, the arrival of Eid-ul-Azha is marked by the sound of hooves and the sight of deep red bulls -- an unmistakable sign of a cherished tradition

2h ago