লেবাননে বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশিদের দিন কাটছে আতঙ্কে

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলার পর ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। ছবি: রয়টার্স

লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের মধ্যে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিরা। ইতোমধ্যে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশি তাদের কর্মস্থল ছেড়েছেন।

দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েল হামলা শুরু করার পর অন্য ৩০ জন বাংলাদেশির সঙ্গে দক্ষিণ লেবাননের নাভাতিয়া অঞ্চল ছেড়েছেন ২৬ বছর বয়সী মিরাজ মাহমুদ। অপেক্ষাকৃত শান্ত সাইদা এলাকায় একটি আশ্রয়শিবিরে আরও ২২০ জনের সঙ্গে আছেন তারা।

গতকাল সন্ধ্যায় ওই আশ্রয়শিবির থেকে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা এখন যেখানে আছি সেখানে এখন পর্যন্ত হামলা না হলেও এই এলাকাতেও যে হামলা হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। নোয়াখালীর ওই যুবক ২০১৭ সালে লেবাননে পাড়ি জমান এবং তারপর থেকে বাংলাদেশে আসেননি।

মিরাজ এবং অন্যরা যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন থাকার সেই জায়গাটি স্থানীয় বাংলাদেশিরা ভাড়া দিয়েছেন। সেখানে এখন ১১০ জন নারী ও সাত শিশু রয়েছে।

বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছিলেন রাব্বোল শেখ তাদের অন্যতম। লেবাননে থাকা অন্য বন্ধুদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছেন তারা। পরে বাংলাদেশ দূতাবাস চাল, তেল ও ডাল দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। লেবাননের একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীও তাদের সাহায্য করেছে।

রাব্বোল বলেন, 'আমরা যে ধরণের সহায়তা পেয়েছি তা তাদের বেশি দিন খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। আশ্রয়কেন্দ্রে বাংলাদেশিদের শুধু খাবারের পেছনে দৈনিক প্রায় ১০০ ডলার খরচ হয়।

বৈরুতে বসবাসকারী আরেক বাংলাদেশি বাবু সাহার মতে, লেবাননের বাংলাদেশিরা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ স্থানে এরকম অনেক আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করেছে।

ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত সাত বাংলাদেশির আহত হওয়ার কথা তিনি জানেন। বাংলাদেশিদের মধ্যে এখনো কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

(সংক্ষেপিত অনুবাদ, বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে)

Comments

The Daily Star  | English

BNP sticks to demand for polls by December

In a meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night, the BNP restated its demands that the next general election be held by December and the government immediately announce a roadmap to that end.

1h ago