কোটা আন্দোলন: মারা গেলেন গুলিবিদ্ধ পোশাক শ্রমিক শাহ আলম
কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আহত পোশাক শ্রমিক শাহ আলম (৪০) আজ মারা গেছেন।
আজ মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গত ১৮ জুলাই কারখানা থেকে ফেরার পথে বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হন শাহআলম।
শাহআলমের ভাই আবু তাহের দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার অনন্তপুর গ্রামে। বাবার নাম রেনু মিয়া। রামপুরা ওয়াপদা রোডে স্ত্রী শিল্পি আক্তার ও তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতো শাহ আলম।
আবু তাহের বলেন, ১৮ জুলাই দুপুরে উত্তর বাড্ডায় পোশাক কারখানা থেকে ফেরার সময় বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে চলা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পড়ে যায় শাহ আলম। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া গুলি লাগে তার বুকে। ফুসফুস ফুটো হয়ে যায়। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয় তাকে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আজ মারা গেল শাহআলম।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ভাইকে হারিয়ে তাহের বলেন, এই মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? কে দেখবে এখন এই পরিবারটিকে?
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেইলি স্টারকে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে
Comments