‘আতঙ্কে নয়, পূজায় অংশ নিতে’ ভারতে যাওয়া ৭ জনকে ছেড়ে দিয়েছে বিএসএফ

কুড়িগ্রাম
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সাত সনাতন ধর্মাবলম্বী পূজায় অংশ নিতে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে (বিএসএফ) আটক হন।

গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সিপেরহাট সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে বিএসএফ আটককৃতদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করে। বিজিবি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

তারা হলেন, নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস (৫০), মানিক চন্দ্র রায় (৪৫), মনমোহন চন্দ্র বিশ্বাস (৪৬), সুবল চন্দ্র বিশ্বাস (৪০), দয়ানাথ বিশ্বাস (৩৫), নিপুল বিশ্বাস (৩৬) ও বিপুল বিশ্বাস (৩২)। 

বিজিবি জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই সাতজন কেদার সীমান্তের শিপের হাট এলাকা দিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার গোলোকগঞ্জ থানার কাঁটাতারের বাইরে থাকা ভোগডাঙ্গা গ্রামে প্রবেশ করেন। সেসময় ভারতের কেদার আড্ডা বিওপির বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে।

স্থানীয়রা জানান, বিএসএফের হাতে সাত সনাতন ধর্মাবলম্বীর আটকের খবর মুহূর্তের মধ্যে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। চাউড় হতে থাকে আতঙ্কে তারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা ভাসান পূজায় অংশ নিতে ভারতের ভোগডাঙ্গা গ্রামে গিয়েছিলেন। পূজা শেষে সেখানে এক আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যান। সেসময় বিএসএফ তাদের আটক করে।

তিনি বলেন, 'আমরা পূজায় অংশ নিতে ভারতে গিয়েছিলাম। আমরা আতঙ্কিত নই। এ ছাড়া, আমাদের গ্রামেও আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা গ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছি।'

কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির কেদার কোম্পানি ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক ডেইলি স্টারকে জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিএসএফের হাতে আটক সাতজনকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, 'তারা আতঙ্কে বাড়ি ছেড়েছিলেন বিষয়টি সঠিক নয়। তারা পূজায় অংশ নিতে সীমান্তবর্তী ভারতীয় গ্রামে গিয়েছিলেন।'

Comments

The Daily Star  | English

How will cops file 'video cases' for over-speeding?

Police will file cases matching the number plates of the vehicles with BRTA database

33m ago