‘সিট ফাঁকা রেখে বিমানের ফ্লাইট চলাচল করে—এ কথাটি সত্য নয়’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
জাতীয় সংসদ ভবন। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

সিট ফাঁকা রেখে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট চলাচল করে--এ কথাটি সত্য নয় বলে জাতীয় সংসদে দাবি করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন বিমান মন্ত্রী।

ফারুক খান বলেন, যাত্রীরা বিমানের ওয়েবসাইট, জিডিএস, মোবাইল অ্যাপ, কল সেন্টার এবং বিমানের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র ছাড়াও যেকোনো অনুমোদিত দেশি/বিদেশি ট্র্যাভেল এজেন্ট থেকে বিমানের টিকিট কিনতে পারেন। বিমানের টিকিট যাত্রীর তথ্য ছাড়া বুকিং করা সম্ভব নয়। ফলে কারোর পক্ষে একসঙ্গে অনেক টিকিট যাত্রীর তথ্য ছাড়া বুকিং করে রাখার কোনো সুযোগ নেই। কোনো এজেন্সি চাইলও যাত্রীর তথ্য ছাড়া টিকিট বুকিং করতে পারবে না। কোনো এজেন্সি মিথ্যা বা ভুয়া তথ্য দিয়ে বুকিং করলে সেটি ধরে জরিমানাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ছাড়াও প্রতিটি টিকিটে বুকিং সময়সীমা দেওয়া থাকে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকিট কেনা না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়।

এয়ারলাইনস ব্যবসায় ভরা মৌসুম ও মন্দা মৌসুম থাকে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যখন ফ্লাইটে চাপ কম থাকবে, তখন কিছু সিট খালি থাকতে পারে। এটা সারা বছরের চিত্র নয়। আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকিট কিনতে গেলে বলে টিকিট নেই, যা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ। এ ছাড়াও যাত্রীরা কনফার্ম টিকিট করেও যথাসময়ে এয়ারপোর্টে উপস্থিত হতে না পারা, অনেকের ভুয়া ভিসা ও তথ্য থাকায় এবং ইমিগ্রেশনে আইনি জটিলতার কারণেও অনেক সময় আসন ফাঁকা থাকে। কিছু রুটে লোড পেনাল্টি থাকায় কিছু সংখ্যক সিট অবিক্রিত রাখা হয়। এর ফলেও সিট ফাঁকা থাকে।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, 'তাই সিট ফাঁকা থাকিলেও বিমানের টিকিট পাওয়া যায় না; বেশির ভাগ সময় সিট ফাঁকা রাখিয়া বিমান উড্ডয়ন করিয়া থাকে—কথাটি সত্য নয়।'

স্বতন্ত্র এমপি এবিএম আনিছুজ্জামানের প্রশ্নের বিমান মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন এয়ারলাইনসের রুট বা গন্তব্যভেদে টিকিট মূল্য বিভিন্ন হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইনসগুলো তাদের বিদ্যমান যোগান ও চাহিদা, প্রতিযোগিতামূলক বাজার, ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ নীতির ওপর ভিত্তি করে টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে বিমানের টিকিটের দামও বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ব্যবসায়িক স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন গন্তব্যে সারাবছরই বিভিন্ন অফার বা টিকিটে ছাড় দেয়। ছাড় দেওয়ার বিষয়টি সবসময়ই অব্যাহত থাকে। বিমান বাজেট এয়ারলাইনস নয়, এটি একটি ফুল সার্ভিস ক্যারিয়ার।'

Comments

The Daily Star  | English

Israel-Iran conflict: what we know

International calls for restraint are multiplying, as fears grow the Middle East could be on the threshold of a broader conflict.

2h ago