ওষুধের দাম ইচ্ছামতো বাড়ানো যাবে না: হাইকোর্ট

স্টার ফাইল ফটো

ইচ্ছামতো সব ধরনের ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের কর্মকর্তাদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ ও রুল জারি করেন।

আদেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন ছাড়া ওষুধ কোম্পানিগুলোকে বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি, বিদেশি ওষুধ তৈরি ও বিক্রি থেকে বিরত রাখতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রুলে ওষুধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩ এর ৩০ ধারার অধীনে সব ধরনের ওষুধের মূল্য নির্ধারণে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।

'দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ' শিরোনামের সংবাদ প্রতিবেদনের উল্লেখ করে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জনস্বার্থে এ রিট করেছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম ব্যাপক বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে বেশ কিছু ওষুধের দামও বাড়ানো হয়েছে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এ ছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধ ও ভিটামিনের দামও বেড়েছে। বাদ যায়নি জ্বর-ঠাণ্ডার ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, নানা রোগের সিরাপও।

বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং বিক্রয় রাজস্ব হিসাব পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে দাম বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক। ডলারের বিপরীতে রুপির অবমূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিকে এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে দায়ী করছে কোম্পানিগুলো। একই সঙ্গে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে এবং উৎপাদন খরচও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ কোম্পানিগুলোর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা।

আজ আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম আজাদ ও আনিছ উল মাওয়া।

Comments

The Daily Star  | English

Govt yet to receive any letter from Tulip: Shafiqul

Tulip has written to Yunus as she wants to meet him in London to clear up a "misunderstanding" after corruption allegations made by the interim govt led her to resign from the UK government

1h ago