সাপে কাটা রোগী ওঝার কাছে, হাসপাতালে নিতে দেরি করায় মৃত্যু
শরীয়তপুরে সাপে কাটার পর হাসপাতালে নিতে দেরি করায় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের।
মৃতের পরিবার বলছে, সাপে কাটার পর তারা প্রথমে রোগীকে ওঝার (সাপুড়ে) কাছে নিয়ে যায়। কিন্তু, সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় প্রায় দুই ঘণ্টা পর হাসপাতালে নেওয়া হয় রোগীকে।
চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীকে দেরি করে হাসপাতালে আনা ও এন্টিভেনম দিতে দেরি করায় রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
মৃত ইমামুল বেপারী (৩৪) শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের আনু সরকারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে তাকে সাপে কাটার পর প্রথমে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা।
পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাত ১০টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালের আরএমও ডা. মিতু আকতার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাপে কাটা ওই যুবককে ওঝার কাছে নিয়ে সময় নষ্ট করার পর রাত ১০টার দিকে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে তাকে এন্টিভেনম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।'
'রোগীর পরিবার এন্টিভেনম দেওয়াতে প্রথমে আগ্রহী হচ্ছিল না। পরে যখন তারা রাজি হয়, ততক্ষণে রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ পর্যায়ে চলে যায়। এন্টিভেনম পুশ করার সময় রোগী মারা যান,' বলেন তিনি।
মৃতের ভাই রেজাউল বেপারীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ভাইকে সাপে কাটার পর প্রথমে তাকে আমরা স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যাই। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাত ১০টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন সময় ডাক্তার বলেন আমার ভাই মারা গেছেন।'
'পরে আর একবার নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভাইকে শুক্রবার সকালে চাঁদপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানেও তারা তাকে মৃত ঘোষণা করেন,' বলেন তিনি।
ডা. মিতু আকতার বলেন, 'এই রোগী মারা যাওয়ার পেছনে তার পরিবারের অবহেলা ও অজ্ঞতা অনেকাংশে দায়ী। কাউকে বিষাক্ত সাপে কাটলে হাসপাতালে নিয়ে এসে এন্টিভেনম পুশ করতে হবে। এভাবে আমরা চারজন সাপে কাটা রোগীকে সুস্থ করেছি।'
Comments