কবিরাজের ঝাড়ফুঁক, সাপে কাটা স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সাপে কাটা এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাতে বিষধর সাপে কাটার পর তাকে কবিরাজের কাছে নেওয়া হয়েছিল। কবিরাজের অপচিকিৎসা এবং সময়মতো হাসপাতালে না নেওয়ায় তার মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া সুমি আক্তার কালীগঞ্জের পশুরাম গ্রামের ওসমান আলীর মেয়ে। সে চাপারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সাপে কাটার ১০ ঘণ্টা পর আজ সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সুমির পরিবারে লোকজন জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নিজের ঘরে সুমির ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে সাপ কামড় দেয়। পরে স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে নেওয়া হয় তাকে। রাতভর ঝাড়ফুঁক চলার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সুমি। পরে সকালে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
সুমির দাদা জয়নাল আবেদীন জানান, কবিরাজকে বিশ্বাস না করে সুমিকে রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হলে সে বেঁচে যেত।
স্থানীয় দলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Comments