ট্রুডোর নামে ভুয়া জন্মসনদ: ইউপি চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানো নোটিশ

পাবনার সুজানগর উপজেলার আহমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া জাস্টিন ট্রুডোর নামে জন্ম নিবন্ধনের কপি ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে জন্ম সনদ তৈরি করার ঘটনায় পাবনার সুজানগর উপজেলার আহমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে পাবনা জেলা প্রশাসন। 

ওই ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

পাবনা জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার কর্মকর্তা মো. ওয়াজেদ আলি দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জাস্টিন ট্রুডোর নামে জন্মসনদটির ছবি বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। 

ইতোমধ্যে ভুয়া জন্ম নিবন্ধনটি সার্ভার থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ওই ইউনিয়নের জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রমও সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।

মো. ওয়াজেদ আলি বলেন, 'আহমেদপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্লা ও সচিব আওলাদ হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।' 

এমন জন্ম নিবন্ধন কীভাবে সার্ভারে এল, আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তা জানাতে বলা হয়েছে।

গণমাধ্যমের হাতে আসা ওই জন্ম সনদ থেকে জানা গেছে, জাস্টিন ট্রুডো'র বাবার নাম পিয়ারে ট্রুডো ও মায়ের নাম মার্গারেট ট্রুডো। তারা দুজনই বাংলাদেশি। জাস্টিন ট্রুডো'র জন্ম ১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর। জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৯৭১৭৬১৮৩১৭০৩৫৫০৯।

এ ঘটনা অনুসন্ধানে পাবনা জেলা প্রশাসন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মো. সাইফুর রহমানকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান ডিডিএলজি। 

তিনি জানান, সরকারি সার্ভারে কীভাবে জালিয়াতি ঘটানো হয়েছে প্রযুক্তির সহায়তায় তা খুঁজে বের করতে বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ হবে। 

আহমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা নিলয় পারভেজ ইমন জন্ম নিবন্ধনের কাজ করতেন। তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে জন্ম নিবন্ধন করে দেওয়ার অভিযোগ আছে।

নিলয়সহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করে আহমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ ফাতেমা খাতুন স্থানীয় আমিনপুর থানায় আজ বিকেলে এজাহার দায়ের করেছেন। 

আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ ডেইলি স্টারকে জানান, ঘটনার পর থেকে নিলয় পলাতক। তাকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।

Comments

The Daily Star  | English
How do we avoid a debt trap?

How do we avoid a debt trap?

The debt bubble is ominous, given Bangladesh’s narrow export base and heavy reliance on remittance inflows.

6h ago