‘৫২ বছর কাটল, কেউ একটি বিশ্ববিদ্যালয় করেনি’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী জেলা কমিটির নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেন। ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতার ৫২ বছরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়নি। জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। পরে তারা এ দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন।  

এর আগে, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন তারা।

দাবি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সভাপতি ফাহিম মুনতাসির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষা-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির পীঠস্থান বা রাজধানীখ্যাত তিতাস নদীর তীরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি সমৃদ্ধ জেলা। এ জেলায় উৎপাদিত গ্যাস দেশের সর্বোচ্চ গ্যাসের চাহিদা পূরণে সক্ষম। এখানকার আখাউড়া ও আশুগঞ্জে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর, নৌ-বন্দর ও রেলওয়ে জংশন আছে। এছাড়া একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, দেশের বৃহত্তম ইউরিয়া সার কারখানাও আছে এই জেলায়। অথচ স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখানে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তথা কোন ধরণের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কেউ প্রতিষ্ঠা করেনি।'

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মৈত্রীর আহ্বায়ক মো. নাসির মিয়া বলেন, 'দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়া। উপজেলার সংখ্যানুসারে এটি বাংলাদেশের একটি "এ" শ্রেণীভুক্ত জেলা। জাতীয় অর্থনীতিতে এই জেলা ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও এখানকার শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই।' 

পদযাত্রায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা যুব মৈত্রীর আহ্বায়ক মো. নাসির মিয়া, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা যুব মৈত্রীর যুগ্ম-আহবায়ক কাজী তানভীর মাহমুদ শিপন, সদস্যসচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়েদ আহমেদ।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

6h ago