ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স ও দেশে বিনিয়োগে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নিজ কার্যালয়ে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুন্ডির পরিবর্তে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে এবং দেশে বিনিয়োগ করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী হুন্ডির মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি অনুরোধ জানান।

আজ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে থেকে আসা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতারা তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি প্রবাসী নেতাদের দেশে বিনিয়োগ করারও আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য আমরা যৌথ পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা সারাদেশে একশ অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করেছি। যারা আগ্রহী, তারা এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন। একজন অংশীজনের সাথেও বিনিয়োগ করতে পারেন। আপনারা যতো বেশি বিনিয়োগ করবেন, দেশ ততো বেশি সুফল পাবে'।

বাংলাদেশে বিনিয়োগ আসায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দেশে বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ ভালো। বিদেশিরাও এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মন্দাবস্থায় সারাবিশ্বের মানুষের দুভোর্গের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশের মানুষ যাতে অন্তত খাদ্যে যাতে কষ্ট না পায়, সেজন্য তার সরকার সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, 'যত অর্থই লাগছে, আমরা বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকেই খাদ্য ক্রয় করছি। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমরা কিছু সমস্যারও সম্মুখীন হচ্ছি, তবে জনগনকে কষ্ট পেতে দেব না'।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক মন্দার কারণে সারাবিশ্বে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও বাংলাদেশে কিছুটা কমেছে।

তিনি দেশে আমন ধানের উৎপাদনে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দেশে আমনের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা এখন বোরো আমন ধান চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কেউ যাতে গৃহহীন না থকে, সেজন্য জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে তার সরকার প্রত্যেককে গৃহায়ন কর্মসূচির আওতায় আনতে কাজ করছে। পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থা গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিতে সরকারের সাথে হাতে হাত রেখে কাজ করছে।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রত্যেকে দেশকে সম্মৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ভালো কাজ করছে। তার সরকার ইতোমধ্যে প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ দিয়েছে এবং বিশেষ করে সেচের জন্য ছোট সোলার প্যানেল স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী দুযোর্গে অথবা যে কোনো প্রয়োজনে প্রবাসীদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

7h ago