বাংলাদশে সৌদি আরব সর্ম্পক নতুন দিগন্তে
অনেক আগ থেকে সৌদি আরবের মানুষ ব্যবসা ও ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসেন। ১৯৪৭ সালে সদ্য প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান নামের মুসলিম রাষ্ট্রের অংশ হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। গড়ে উঠে সৌদি আরবের শখ্যতা। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই বাঙালী জাতীয়তাবাদের ওপর ভিত্তি করে বাংলার মানুষ আন্দোলন শুরু করে এবং কালক্রমে তা যুদ্ধে মোড় নেয়। ১৯৭১ সালের সেই যুদ্ধে সৌদি আরব পাকিস্তানকে সমর্থন করে। তারা বাঙালী জাতীয়তাবাদীদের মুসলিম রাষ্ট্রবিরোধী এবং ইসলাম বিরোধী আখ্যা দেয়। একই সাথে বাংলাদেশের সাথে ভারত এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়ায়। বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ একে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা শুরু করে। কিন্তু সৌদি আরব তখনো স্বীকৃতি প্রদান করেনি। শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর ১৯৭৫-৭৬ সালে সৌদি আরব এবং বাংলাদেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। জিয়াউর রহমান এবং হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সৌদি আরবের সাথে রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তখন থেকে বেশ কিছু দক্ষ এবং অদক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে কাজ করতে পাঠানো হয়।
বর্তমানে মোট শ্রমিকের সংখ্যা ২.৫ মিলিয়ন। সৌদি আরবে হজ্জ্ব করতে এবং পড়াশোনার জন্য বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি গমন করে। প্রতিবছর প্রায় ১ লক্ষ মানুষ সেখানে যায় শুধু হজ্জ্ব করতে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ভাবে সহায়তা করে এমন দেশের মধ্যে সৌদি আরব অন্যতম প্রধান দেশ। ২০১৬ সালে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন বাংলাদেশির ছবি প্রকাশিত হয়। যিনি সৌদি আরবে রাস্তা পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ছবিতে দেখা যায় তিনি একটি স্বর্ণের দোকানে প্রদর্শিত গয়নার দিকে তাকিয়ে আছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিতে আরবরা অনেক উপহাসমূলক মন্তব্য করা শুরু করে। অথচ ঐ ছবি বা মন্তব্য সম্পর্কে সেই বাংলাদেশি সচেতন ছিলেন না। এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে একজন সৌদি নাগরিক লজ্জিত হন এবং সেই বাংলাদেশি ব্যক্তিকে খুঁজে সেই সোনার গয়না এবং অনেক টাকা উপহার দিয়ে আসে।
সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী বাংলাদেশী বসবাস করে থাকেন। এর সংখ্যা আনুমানিক ২৫ লক্ষ। তবে বিভিন্ন জনের দাবিতে এর পরিমাণ ২০ লক্ষ থেকে শুরু করে ৩০ লক্ষ বলে উল্লেখ করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশীরা সৌদি আরবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিভিন্ন ধরনের চাকরিতে নিয়োজিত রয়েছেন। বাংলাদেশ-সৌদি আরব সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে যখন সৌদি আরব ১৯৭১-এ স্বাধীনতা অর্জনকারী বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এই দুই দেশের সম্পর্ক ভাতৃপ্রতীম, সুদৃঢ এবং ক্রমবিকাশমান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এবং রাজতন্ত্রী সৌদি আরবের মধ্যে বর্তমানে একটি সুসম্পর্ক বিদ্যামান। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র হওয়ায় উভয় দেশের মধ্যে একটি আত্মিক বন্ধন স্বাভাবিকভাবেই তৈরী হয়ে যায়, কারণ সৌদি আরবেই ইসলাম ধর্মের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অবস্থিত এবং সেখানেই ইসলাম ধর্ম বিকশিত হয়। উভয় দেশ অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন এর সদস্য। সৌদি আরবে প্রচুর প্রবাসী বাংলাদেশি কাজ করেন।
প্রতি বছর সৌদি আরব থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের অধিক রেমিট্যান্স প্রেরণ করে থাকেন- যা বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় শক্তি। পদ্ধতিগত জ্ঞান বা সহজ ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে হাতের কাছে না পাওয়ায় হুন্ডির মাধ্যমেও প্রায় ৫ বিলিয়নের অধিক রেমিট্যান্স বাংলাদেশে বসবাসরত প্রবাসী শ্রমিকদের পরিবার পরিজনদের কাছে পাঠিয়ে থাকেন।
অজানা সেই দরদি মানুষটি সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ' এমন শিরোনামে সে সমময় বাংলাদেশের প্রায় সবকটি প্রথম সারির গণমাধ্যম খবর ছেপেছিল। কারণ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। যিনি বাংলাদেশের দুঃসময়ে নিজের নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সিডর আক্রান্তদের সহায়তার জন্য ১৩ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ৪৬ কোটি টাকা) দান করেছিলেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো ব্যক্তির সর্বোচ্চ দান। দেশ-বিদেশে থাকা বাংলাদেশি এমনকি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তাদেরও কৌতুহল ছিল, কে এই দানবীর? ২০০৭ সালের সিডরের প্রায় আট বছর পর জানা গেল সেই দাতার নাম। তিনি সৌদি আরবের তখনকার বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ, যিনি ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ সালে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমিয়েছিলেন। এটা এখন স্মৃতিচারণ হলেও বাংলাদেশ-সৌদি আরব সম্পর্কের গভীরতা উপলব্দি করবার জন্য জীবন্ত উদাহরণ।
শুধু তাই নয় বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। সৌদি যেমন বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত করে ঠিক একইভাবে বাংলাদেশও সৌদিকে তার বিশ্বস্ত বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে সর্বোচ্চ স্থান দেয়। প্রায় ৩.২ মিলিয়নের অধিক বাংলাদেশি সৌদি আরবে বসবাস ও কাজ করছেন। তারা সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় বিদেশি নাগরিক সম্প্রদায় এবং দেশের বাইরে সবচেয়ে বড় বাংলাদেশি সম্প্রদায়। প্রতি বছর সৌদি আরব থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের অধিক রেমিট্যান্স প্রেরণ করে থাকেন- যা বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় শক্তি। পদ্ধতিগত জ্ঞান বা সহজ ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে হাতের কাছে না পাওয়ায় হুন্ডির মাধ্যমেও প্রায় ৫ বিলিয়নের অধিক রেমিট্যান্স বাংলাদেশে বসবাসরত প্রবাসী শ্রমিকদের পরিবার পরিজনদের কাছে পাঠিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশি কর্মীদের কাজের প্রতি সন্তুষ্টি, অতীত অভিজ্ঞতা, তুলনামূলক কম দক্ষতায় সস্তা শ্রমের জন্যও বাংলাদেশিরা রিক্রুটার হিসেবে অন্যান্য দেশের চেয়ে এগিয়ে। একদিকে সস্তা শ্রমশক্তি অন্যদিকে বৈদেশিক রেমিট্যান্স দুই দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুরুত্ব বিবেচনায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সৌদি আরবের রিয়াদে সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারী দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে ডিজিটাল সুবিধা সম্বলিত ই-পাসপোর্ট চালু করে বাংলাদেশ।
সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা ৫ বছর বা ১০ বছর মেয়াদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে। বাংলাদেশের ৪৬তম মিশন হিসেবে সৌদি আরবে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হয়। ইতোমধ্যে দূতাবাসে ২০টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও দূতাবাস বিভিন্ন শহরে কনস্যুলার পরিষেবা প্রদানের সময় ই-পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করছে। প্রবাসীদের দেশ বিনির্মাণে বৈধপথে অধিক রেমিট্যান্স প্রেরণের সুবাধে সরকার সেবা সহজীকরণের নানা প্রচেষ্টার মধ্যে এটিও অন্যতম বলা চলে।
বর্তমানে এমআরপি বা যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্টের বইও একই রকমের থাকবে। তবে যন্ত্রে পাসপোর্টের বইয়ে প্রথমে যে তথ্য সংবলিত দুটি পাতা থাকে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে বরং পালিমানের তৈরি একটি কার্ড ও অ্যান্টেনা থাকবে। সেই কার্ডের ভেতরে চিপ থাকবে, যেখানে পাসপোর্ট বাহকের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরণের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ। ফলে যেকোনো দেশের কর্তৃপক্ষ সহজেই ভ্রমণকারীর সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারবেন। এটি অত্যন্ত নিরাপত্তা সংবলিত একটি ব্যবস্থা। যে কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখন ই-পাসপোর্ট ব্যবহার শুরু করেছে।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) আর ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) এর মধ্যে পার্থক্যকে আমরা তুলনা করতে পারি অনেকটা চেকবই আর এটিএম কার্ডের মতো। চেকবই যেভাবে স্বাক্ষর যাচাইবাছাই করে ব্যাংক কর্মকর্তারা অনুমোদন করে টাকা প্রদান করেন। কিন্তু এটিএম কার্ড দিয়ে যে কেউ নিজে থেকেই টাকা তুলতে পারেন। তেমনি এমআরপি পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তথ্য যাচাই বাছাই করে পাসপোর্টে সিল দিয়ে থাকেন। কিন্তু ই-পাসপোর্টধারী যন্ত্রের মাধ্যমে নিজে থেকেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন। তবে পরবর্তী ধাপে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারাই পাসপোর্টে আগমণ অথবা বর্হিগমন সিল দেবেন। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো যে, খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ই-গেট ব্যবহার করে তারা যাতায়াত করবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে তাদের ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না।
এর মাধ্যমে দ্রুত তাদের ইমিগ্রেশন হয়ে যাবে। তবে যখন একজন ভ্রমণকারী ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে যাতায়াত করবেন, সঙ্গে সঙ্গে সেটি কেন্দ্রীয় তথ্যাগারের (পাবলিক কি ডাইরেক্টরি-পিকেডি) সঙ্গে যোগাযোগ করে তার সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবে। ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। থাকবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। তবে কোন গরমিল থাকলে লালবাতি জ্বলে উঠবে। তখন সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা হস্তক্ষেপ করবেন। কারো বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেটিও সঙ্গে সঙ্গে জানা যাবে। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) এই পিকেডি পরিচালনা করে। ফলে ইন্টারপোলসহ বিমান ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য যাচাই করতে পারে। এখানে ৩৮টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকায় এ ধরণের পাসপোর্ট জাল করা সহজ নয়।
বর্তমানে সৌদি আরব বাংলাদেশের বৃহত্তম শ্রমবাজার হলেও ভবিষ্যতে সৌদি আরব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অন্যতম বিনিয়োগকারী পার্টনার হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে সৌদি রাষ্ট্রদূত আল দুহাইলান বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগকারীদের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেছেন এবং সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাধা দূর করার জন্য। তিনি মনে করেন বাংলাদেশও সৌদি আরবের ভালো বন্ধু। জলবায়ু পরিবর্তন, বিনিয়োগ এবং মানবসম্পদসহ অনেক বিষয়ে সৌদি-বাংলাদেশ পারস্পরিক বোঝাপড়া রয়েছে।
তাই বাংলাদেশ সৌদি বিনিয়োগের জন্য একটি নতুন ক্ষেত্র, নতুন গন্তব্য। সৌদি আরব বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি ও লজিস্টিকে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। যা বাংলাদেশের গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিৎ। এতে করে বাংলাদেশ যেমন বিনিয়োগ আকর্ষণে সৌদিকে সুযোগ দিতে পারবে আবার একই ভাবে ভবিষ্যৎ জ্বালানির জন্যও বাংলাদেশ সৌদির কাছ থেকে সুযোগ নিতে পারবে।
তাই বলা চলে বাংলাদেশের বৃহৎ শ্রমবাজার সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কে নতুন উচ্চতায় নেয়ার নতুন নতুন পথ নির্দেশ তৈরী হচ্ছে যা থেকে উভয় দেশই অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবার অবারিত সুযোগ রয়েছে।
Comments