সন্ত্রাসী ও তাদের উস্কানিদাতাদের আটক করেছি: পুলিশ
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় অনেক সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসে উস্কানিদাতাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, 'অনেককে আটক করেছি, মাথা গোনা সম্ভব নয়। অনেক সন্ত্রাসীকে আটক করেছি। সন্ত্রাসী এবং তাদের উস্কানিদাতাদের আটক করেছি।'
তিনি আরও বলেন, 'বিএনপি কার্যালয়ের ৩ তলা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে একাধিকবার বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। তখন তো ভেতরে বিএনপি নেতাকর্মীরাই ছিল। তাহলে তারাই তো তা নিক্ষেপ করেছে।'
এর আগে, ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছিলেন কতজন আটক হয়েছে খতিয়ে দেখার পর জানানো হবে।
ঘটনাস্থল থেকে ডেইলি স্টার সংবাদদাতা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান গেট বন্ধ থাকলেও ভেতরে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। সেখানে তাদের অভিযান এখনো চলছে। আশেপাশে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
ইতোমধ্যে কার্যালয়ের ভেতর ও নয়াপল্টন এলাকা থেকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসসহ ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশকে ১১টি প্রিজনভ্যানে করে আটককৃতদের নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে যা পাওয়া গেল
নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর অভিযানকালে পুলিশ রান্না করা খিচুড়ি ও রান্নার পাতিল পেয়েছে। এ ছাড়া, কার্যালয় থেকে একটু দূরে চালবোঝাই একটি ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ। ট্রাকটির সামনের গ্লাস ভাঙা ছিল।
এদিকে, বিএনপি কার্যালয়ের আশপাশ থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ ভ্যানে করে পল্টন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ সাংবাদিকদের জানান, কার্গো ট্রাক ভর্তি করে চাল আনা হয়েছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। ট্রাকটির চালক পালিয়ে গেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Comments