হামলা হলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বিএনপি

রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক বিএনপির

নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং অনুমতি পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেও আগামীকাল শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি।

নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে না দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি কঠোর কর্মসূচিতে যাবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অভিমুখে মিছিল বা অবরোধ এবং সড়ক ও নৌপথ অবরোধ করার মতো কর্মসূচিও আসতে পারে বলে জানা গেছে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

তবে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে দিলে তারাও কর্মসূচি শেষে ঘরে ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, তারাও শান্তি চান। কিন্তু হামলা হলে আত্মরক্ষা করবেন।

বিএনপি নেতারা বলেছেন, সমাবেশ অন্য কোথাও তারা করবেন না এবং এ কারণেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে দেওয়া আবেদনে বিকল্প কোনো স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

ডিএমপি বিএনপিকে বিকল্প স্থানের নাম চাইলেও সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নয়াপল্টনে ইতোমধ্যেই সব আয়োজন করা হয়েছে এবং বিকল্প স্থানে যাওয়া সম্ভব নয়।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা আগেও সব প্রতিকূলতা ও বাধা উপেক্ষা করে কর্মসূচি পালন করেছি এবং এবারও করব।'

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে এবং দলের পরবর্তী কর্মপন্থা চূড়ান্ত করতে বিএনপির শীর্ষ নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সহযোগী সংগঠন ও জেলা শাখার নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছেন।

দলের এক সিনিয়র নেতা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোভাব দেখে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।'

গত বছরের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে দলের শীর্ষ নেতারা নেতাকর্মীদের কোনো উসকানিমূলক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। গত বছর সিনিয়র নেতাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল এবং দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছিল।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ''ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের 'উসকানিমূলক' মন্তব্য সত্ত্বেও সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে।'

গত কয়েকদিনে বিএনপির প্রায় এক হাজার ২০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

২৮ অক্টোবরের সমাবেশে যোগ দিতে ইতোমধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন। আশেপাশের জেলার কর্মীরা আজ রাতে বা কাল ভোরে ঢাকায় পৌঁছাবেন। গণপরিবহনে করেই তারা আসছেন।

বিএনপি নেতারা জানান, কোনো নেতা গ্রেপ্তার হলে নেতাকর্মীরা যেন নেতৃত্বহীন হয়ে না পড়ে সেজন্য দলে তিন স্তরের নেতৃত্ব ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো গুজব সম্পর্কে কর্মীদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে এবং কোনো বিভ্রান্তি তৈরি হলে ইউনিটের নেতাদের কাছে জানতে বলা হয়েছে।

দলের নেতারা জানান, শনিবারের সমাবেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৫৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীর একটি শক্তিশালী দল গঠন করা হয়েছে।

ঢাকায় আসার পর নেতাকর্মীদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশেপাশে ঘোরাফেরা না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে দলীয় কার্যালয় গিয়ে দেখা যায়, নেতাকর্মীদের তেমন একটা উপস্থিতি নেই।

 

Comments

The Daily Star  | English
BNP demands national election by December 2025

2014, 2018, 2024 polls: BNP to sue former ECs, officials today

BNP is set to file a case against officials involved in the last three national elections with Sher-e-Bangla Nagar police today. The party will also lodge a formal complaint with the Election Commission in this regard, BNP leaders said yesterday.  

4h ago