তারা সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের বুকে আঘাত হেনেছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকের এই ঘটনাকে আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। এত পাশবিক, ভয়াবহ, নারকীয় অভিযান শুধু বিএনপি নয় সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের বুকে আঘাত হেনেছে। একইসঙ্গে তারা গণতন্ত্রকে আঘাত করেছে।
আজ বুধবার বেলা তিনটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। বিকেল সোয়া চারটার দিকে পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় কার্যালয়ের ভেতর ও সামনে থেকে ৩ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে আছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।
অভিযানের সময় মির্জা ফখরুল দলের কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে তিনি কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় অবস্থান নেন। রাত ৮টায় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। স্থায়ী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা বলে তিনি নয়াপল্টন এলাকা থেকে চলে যান।
নয়াপল্টন ছাড়ার আগে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা ভালো করে দেখেছি কারা কারা এর নেতৃত্ব দিয়েছেন, কোন কোন বাহিনী এখানে এসেছিল।
তিনি বলেন, সবাই দেখেছেন কীভাবে পাশবিকভাবে তারা নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে যেটা একমাত্র একাত্তর সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচারের সঙ্গে তুলনা করা চলে। তারা আমাদের অফিসের সব কম্পিউটার এবং মূল্যবান ডকুমেন্টস সব তারা নিয়ে গেছে। এভিডেন্স নষ্ট করে দেওয়ার জন্য তারা সব সিসি ক্যামেরা ও বিদ্যুতের লাইন নষ্ট করে ফেলেছে। কোনো গণতান্ত্রিক দেশের পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এটা করতে পারে আমাদের জানা ছিল না।
'সবচেয়ে দুঃখজনক ও আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো এখানে সরকার কাজ করছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। বিএনপির সমাবেশের স্থান নিয়ে তাদের জবাব দেওয়ার কথা ছিল। সেটা না করে মর্মান্তিক পাশবিক আক্রমণ চালিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হলো। জনগণ এটা কখনোই মেনে নেবে না। অবশ্যই তারা রুখে দাঁড়াবে,' যোগ করেন তিনি।
Comments