মাসুদ রানা সিরিজ: কপিরাইট অফিসের আদেশ সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত

সেবা প্রকাশনীর পাঠকপ্রিয় ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি বই ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বই নিয়ে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
supreme-court_0_1.jpg
সুপ্রিম কোর্ট ভবন। স্টার ফাইল ছবি

সেবা প্রকাশনীর পাঠকপ্রিয় 'মাসুদ রানা' সিরিজের ২৬০টি বই ও 'কুয়াশা' সিরিজের ৫০টি বই নিয়ে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বইগুলো বিক্রির বিষয়ে স্থিতাবস্থার আদেশ জারি করেছেন শীর্ষ আদালত।

আজ সোমবার হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সেবা প্রকাশনীর মালিক কাজী আনোয়ার হোসেনের পরিবারের দায়ের করা লিভ টু আপিল আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৩ সদস্যের বেঞ্চ।

কাজী আনোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যরা এখন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে নিয়মিত আপিল করতে পারবেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী হামিদুল মেসবাহ।

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের আদেশ বহাল রাখে। যেখানে মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি বই এবং কুয়াশা সিরিজের ৫০টি বইয়ের কপিরাইট দেওয়া হয় শেখ আব্দুল হাকিমকে। তখন কপিরাইট অফিসের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে কাজী আনোয়ার হোসেনের দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট এ রায় দেন।

এর আগে, ২০২০ সালের ১৪ জুন কপিরাইট অফিস শেখ আব্দুল হাকিমকে মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি বই এবং কুয়াশা সিরিজের ৫০টি বইয়ের স্বত্ব বা মালিকানা প্রদান করে।

আইনজীবী হামিদুল মেসবাহ তখন বলেছিলেন, 'শেখ আবদুল হাকিম সেবা প্রকাশনীর লেখক হিসেবে কাজ করেছেন এবং মাসিক বেতন নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জন্য বই লিখেছেন। অবসরের পর তিনি কপিরাইট অফিসে দুটি সিরিজের অধীনে বইয়ের স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করে একটি আবেদন জমা দেন। যা আইনের লঙ্ঘন ছিল।'

তবে, ২০২০ সালের ১৫ জুন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'আমরা শেখ আব্দুল হাকিমকে কপিরাইট প্রদান করেছি। কারণ প্রথম বইটি লেখার জন্য এককালীন অর্থ প্রাপ্তির বাইরে পুনর্মুদ্রণের জন্য কোনো রয়ালিটি পাননি। হাকিমের কপিরাইট থাকবে না, বা হাকিমকে বই লেখার জন্য এককালীন অর্থ প্রদান করা হচ্ছে বলে কোনো চুক্তি ছিল না।'

Comments

The Daily Star  | English

Personal data up for sale online!

A section of government officials are selling citizens’ NID card and phone call details through hundreds of Facebook, Telegram, and WhatsApp groups, the National Telecommunication Monitoring Center has found.

26m ago